লাইজুল ইসলাম : [২] লম্বায় এক হাজার ফুট চওড়ায় তিনশো ফুট বুড়িগঙ্গার নদী দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিআইডাব্লিউ কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার। তারা আরো বলেন, পাওয়ার প্লান্টের ভেতরে নদীর জায়গা রয়েছে। বাধার কারণে এতদিন সীমানা পিলার বসানো সম্ভব হয়নি।
[৩] পাওয়ার প্লান্টের মালিক ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক দাবি করেন, নিয়মের তোয়াক্কা না করে তার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর থেকে এই জমি নেয়া। জমির জন্য অনাপত্তিপত্র রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর এই অভিযানের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যাবেন বলেও জানান।
[৪] এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন।
[৫] ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী অভিযান হয়েছে। বিদ্যুৎ প্লান্টের দুটি ট্যাংক ও সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় চার একর জমি।
[৬] সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, মাইশা বিদ্যুৎ প্লান্টের নামে যে অনাপত্তিপত্র তা ২০০৫ সালের। আর উচ্ছেদ করা হচ্ছে ২০১১ সালের হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী। সেই হিসেবে তার অনাপত্তিপত্র কার্যকর নয়। তিনি আরো বলেন, আসলামুল হক বার বার বিআইডাব্লিউটিএতে আসলেও তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি।
[৭] মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের চরওয়াশপুর এলাকায় অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।