রাকিব উদ্দীন : [২] তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয়টিতেও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট করতে নেমে তামিমের দুর্দান্ত ১৫৮ রানে ভর করে জিম্বাবুয়েকে রেকর্ড ৩২৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। এটি ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ স্কোর।
[৩] প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। তবে ইনিংসের ৭ম ওভারে তামিমের শট মুম্বার হাতে ছুঁয়ে স্ট্যাম্পে লেগে আউট হন লিটন। ৯ রানে লিটনের বিদায়ের পর রান আউট হয়ে ১১তম ওভারে ৯ রানে ফিরতে হয় শান্তকেও। দুই উইকেট হারিয়ে যখন অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ঠিক তখনই উইকেটে আসলেন মুশফিকুর রহিম। তামিমের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়লেন হাঁকালেন ক্যারিয়ারের ৩৮তম অর্ধশতকও। আর এরপরেই মাধেভেরের শিকার হয়ে ফিরলেন দলীয় ১৫২ রানে। আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেন ৫০ রান। এরপর তামিমের সঙ্গে ৪র্থ উইকেটে রিয়াদ গড়লেন শতরানের জুটি। তবে ৪৩তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফেরেন রিয়াদ।
[৪] প্রায় দু'বছর পর শতকের দেখা পেলেন তামিম ইকবাল। আর শতক হাঁকিয়ে নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল ১৫৪। অবশ্য সেই ইনিংসটিও ছিল তামিমের আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। আর নিজের রেকর্ড ভেঙে সোমবার সিলেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগৎ রান করলেন ১৫৮। আউট হওয়ার আগে ২০টি চার আর ৩টি ছয়ে ১৩৬ বলে তামিম ইকবাল করেন ১৫৮ রান।
[৫] তামিম ফিরলে দ্রুতই ফেরেন মিরাজ (৫) মাশরাফি (১) এবং তাইজুল (০)। শেষ দিকে মিঠুনের ১৮ বলের ৩২ রানের ক্যামিওতে ৩২২ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। আর জিম্বাবুয়ের সামনে ছুঁড়ে দেয় ৩২৩ রানের পাহাড়সম রানের জয়ের লক্ষ্য। রোডেশিয়ানদের হয়ে ডোনাল্ড তিরিপানো এবং কার্ল মুম্বা ২টি করে উইকেট নেন আর একটি করে উইকেট নেন ওয়েসলি মাধেভেরে এবং চার্লটন শুমা।
[৬] এর আগে সিলেটে প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সিরিজে ১-০'তে এগিয়ে মাশরাফি'র দল। আর তাই তো সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে চাই টাইগাররা। এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
[৭] বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন।
[৮] জিম্বাবুয়ে একাদশ: তিনাশি কামুনহুকামুয়ে, রেগিস চাকাভা, ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, টিনোটেন্ডা মুতোম্বোজি, ডোনাল্ড টিরিপানো, চার্ল মুম্বা ও চার্ল্টন শুমা।।