সমীরণ রায় : [২] রোববার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৪ দল আয়োজিত মুজিববর্ষ ২০২০-২১ শেখ হাসিনার নির্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ, প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ ত্যাগ করে স্বাধীনতার স্বপক্ষে যোগ দিয়ে বিএনপিকে মুজিববর্ষ পালন করতেও বলেন তিনি।
[৩] আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরো বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ভারতসহ অনেক দেশের অতিথিদেরকে দাওয়াত দিয়েছি। এদেরকে নিয়ে একটি চক্র ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে। ভারতের বিষয়কে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে একটি চক্র। ভারত আমাদের বন্ধু, রক্তের বিনিময়ে বন্ধু সৃষ্টি হয়েছে। তাই অবশ্যই মুজিববর্ষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। এ নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারবে না। সোনিয়া গান্ধিসহ কংগ্রেসের অনেকেই দাওয়াত দিয়েছি সবাই আসবেন।
[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব লোক মুজিববর্ষ পালন করবে আগামী ১৭ মার্চ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি পালন করবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিরোধী বিএনপির সঙ্গে কখনো আপোষ করা হবে না। তারা মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হলে অবশ্যই মুজিববর্ষ পালন করবে।
[৫] ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে আইন আছে তা আরও কঠোর করে মৃত্যুদণ্ড বিধান রাখার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের আইন আরো দ্রুত সময় ব্যস্তবায়ন করে শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে এসব নির্যাতন কারীরা আরো সুযোগ পেয়ে যাবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে পারবো। যারা নির্যাতন করে তারা খুনি।
[৬] এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, কার্যনিবাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাজইভাণ্ডারী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :