রবিউল আলম : শান্তির বিকল্প আজও আবিষ্কার হয়নি। অশান্তি ক্ষণিকের জন্য ক্ষমতায় আনতে পারে, তবে স্থায়িত্ব হয় না। দিল্লির মসনদ হারিয়ে বিজেপি আগুনের পথ বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়াও ক্ষমতা হারিয়ে আগুনের পথ বেছে নিয়েছিলো, পরিণতি এখন সবার সামনে। শেখ হাসিনার অহিংস রাজনীতি, মানুষের ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ স্থায়ী উন্নয়ন ও শান্তির বার্তা নিয়ে বিশ্ব দরবারে, মোদীজি কিছু বুঝলেন। ধর্মে রাজনীতি মানুষকে ঐক্যে আনতে পারে না। ধম, বণর্, জাতি-গোষ্ঠীর ঐক্য ছাড়া একটি দেশ হতে পারে না। মোদী কী হিন্দুদের নেতা হতে চান, তা কিন্তু হয়েই আছেন। তাতে ভারতে নেতা হতে পারবেন না।
ভারত বিশ্বের একমাত্র দেশ, জাতি গোষ্ঠী বিচার করে না এবং একক কোনো জাতি বসবাসও করে না। ভোট আসলে বন্ধু হয়। ভোট হয়ে গেলে সবার দায়িত্ব নিতে হয়। আপনি ভারত বর্শের প্রধানমন্ত্রী। জাতির বিচারে একটি ধর্মে আবদ্ধ হবেন না। আমি জানি আপনি আমার লেখা পড়বেন না। পড়তে পারবেনও না। আপনাকে জ্ঞানদানের জন্যও লেখছি না। নিজের মনের আত্মতৃপ্তির জন্য। ভারতকে এখনো ভালোবাসি, ভারতের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি। চোখের সামনে ভারতের ধ্বংস চাইতে ও দেখতে পারবো না বলে। ভারত আমার স্বাধীনতার প্রতীক হওয়াতে। ভারত বিশ্বমানবতার প্রতীক, কাশ্মির, গুজরাট, দিল্লিতে আগুন দিতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ভারত নিয়ন্ত্রণ করতে মানবিক হতে হবে। না হয় খালেদা জিয়ার মতো, বিশ্ব স্বৈরশাসকদের মতো আপনাকেও একদিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমি কষ্ট পাবো, আপনাকে ভালো লাগে বলে। লেখক : রাজনীতিবিদ