মশিউর অর্ণব: [২] ২০১৪ সালে আসিয়া কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল ফ্রান্স৷ মঙ্গলবার সেই প্রত্যয়নপত্রটি আসিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন প্যারিসের মেয়র৷ ফ্রান্স ২৪, টেলিগ্রাফ, ডন।
[৩] আগামী শুক্রবার আসিয়া ও তার পরিবারকে স্বাগত জানাবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত হওয়ায় ২০১০ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
[৪] সম্প্রতি আসিয়া বিবিকে নিয়ে ‘অঁ ফাঁ লিবা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে আসিয়ার অধিকার নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ফ্রেঞ্চ সাংবাদিক অ্যান ইজাবেল বইটির একজন লেখক। ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা ওই বইটির প্রকৃত নাম ‘অবশেষে মুক্ত’।
[৫] জার্মানির একটি রেডিওতে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসিয়া বলেন, ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আমার। ফ্রান্স আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। অ্যান ইজাবেল আমার কাছে ফেরেশতার মতো।
[৬] ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবি ক্ষেতে কাজ করার সময় বিতণ্ডার জেরে একজন মুসলিম নারী স্থানীয় ইমামের কাছে অভিযোগ করেন, আসিয়া বিবি নবী মোহাম্মদকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন৷
[৭] বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে পাঞ্জাবের একটি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ আসিয়ার আপিলের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট তাকে মুক্তি দিলেও উগ্রবাদীদের হুমকির কারণে নিরাপত্তা শঙ্কায় জেল থেকে বের হতে পারছিলেন না তিনি।
[৮] সেসময় আসিয়ার পক্ষ নিয়ে ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করায়, খুন করা হয় পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সালমান তাসিরকে।
[৯] এরপর ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তান ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমান আসিয়া।