আনিস আলমগীর : কেকা আপা মুরগির ঠ্যাং দিয়ে রসগোল্লার রেসিপি দিলে সেটা হচ্ছে ইনোভেশন। আর একজন মন্ত্রী যখন কৃষিবিদদের বললেন, কচুরিপানা আমরা খেতে পারি কিনা গবেষণা করতে, তখন কিছু লোক এর মধ্যে অনেক হাসিঠাট্টা খুঁজে পাচ্ছেন। বিষয়টা তাদের কাছে মশকরার মনে হচ্ছে। কেন ভাই তিনি তো তেলাপোকা, গুয়ের পোকা, ইঁদুর খাওয়ার গবেষণা করতে বলেননি। একটা উদ্ভিদ জাতীয় সহজলভ্য জিনিসকে খাওয়ার উপযোগী করা যায় কিনা পরীক্ষা করতে বলেছেন। আমরা ভাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি এখন, মাছ-মুরগিরও অভাব নেই। গরুর উৎপাদনেও হয়তো আমরা একদিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো, ভারতের গরু আনতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরতে হবে না সীমান্তের মানুষদের। অনেক কিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সামান্য পেঁয়াজের জন্য এখনো বিদেশের দিকে চেয়ে থাকতে হয়।
আমরা কেন সারাবছর উৎপাদন করা যায়, অধিক ফলন দিতে পারে এবং পচনশীল নয় এমন পেঁয়াজ উৎপন্ন করতে পারছি না? আমের সিজনে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পচে যায় আম। আমাদের বিজ্ঞানীরা সংরক্ষণের কোনো উপায় বের করতে পারেননি, তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রিজারভেটিভ হিসেবে নানা কেমিক্যাল দিচ্ছে। আমাদের সায়েন্স ল্যাবরেটরি গত দুই চার দশকে কি এমন মহান আবিষ্কার করেছে সাধারণ মানুষের জন্য। মাটির চুলা ছাড়া তো আমার কিছু স্মরণে আসছে না এখন। আমি সারাবছর কাঁচা আম খেতে চাই। সারাবছর মিষ্টি তেঁতুল, টক বরই খেতে চাই। কচুরিপানার ফুলের ভর্তা খেতে চাই। মিষ্টি কুমড়ার আচার খেতে চাই। চাই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিষ্কারে এই দেশকে ভরিয়ে দেবেন। মন্ত্রীরা তাদের নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কারের উৎসাহ দেবেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :