শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, কোটিপতি ১১৬ জন: টিআইবি ◈ ৩ বাসে ভাঙচুর, ট্রাফিক বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১ ◈ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ ◈ বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত ◈ সৌদি বাদশাহ সালমান অসুস্থ, নেওয়া হয়েছে ক্লিনিকে ◈ সাঁতারের পোশাকে প্রথম ফ্যাশন শো সৌদিতে ◈ তৃতীয় দেশ দু-একশ জনকে আশ্রয় দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ছাড়তে উৎসাহিত করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের ◈ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে দেশকে ধ্বংস করবেন না: প্রধানমন্ত্রী ◈ পাকিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ সদস্য নিহত

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে ফল আমদানিতে ধ্বস

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : অসম প্রতিযোগিতার মুখে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ফল আমদানিতে ধ্বস নেমেছে। অন্যান্য বন্দরের চেয়ে এ বন্দরে ব্যবসায়ীরা ফল আমদানিতে সুযোগ সুবিধা কম পাওয়ায় এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। যার ফলে ফল আমদানীতে ধ্বস নেমেছে এ বন্দরে।

জানা যায়, ভরা মৌসুমে এবার ভোমরাবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক ভারতীয় আঙ্গুর ফল আমদানি হচ্ছে। অথচ গত বছর এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭৫ ট্রাক ভারতীয় আঙ্গুগুর ফল আমাদনি হত।

এমনটি হলো কেন জানতেই ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী সুমন হোসেন বললেন, ভোমরা বন্দরে ভারতীয় একট্রাক আঙ্গুর ফলে টিআর বাবদ (খালি ক্যারেটের ওজন) ওজন একটন ৭শ কেজি বাদ যায়। অপর দিকে সোনা-মসজিদ ও বেনাপোল বন্দরে এক ট্রাকে টিআর বাদ যায় ৪ টন ৭শ কেজি। অর্থাৎ প্রতিট্রাকে ভোমরা বন্দরের তুলনায় একই ওজনের পণ্যে সোনা-মসজিদ ও বেনাপোল বন্দরে তিন টন আঙ্গুরের শুল্ক কম দিয়ে পণ্য ছাড় করানো যায়। সেই হিসাব অনুযায়ী ভারতীয় একট্রাক আঙ্গুর ফল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি করতে গেলে তিন টনে এক লাখ ৫১ হাজার টাকা বেশি শুল্ক দিতে হয়। একই ওজনের পণ্য সোনা-মসজিদ ও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারলে একলক্ষ ৫১ হাজার টাকা কম শুল্ক পরিশোধ করলে হয়ে যায়। যার কারণে ভরা মৌসুমে অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ভোমরা বন্দরে ফল আমদানীতে ধ্বস নেমেছে।

ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন এখবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এক দেশে কাস্টমসের দ্বৈত নীতির কারণে এখানে ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের করণে ভারতের কলকাতা শহর থেকে মাত্র ২ ঘণ্টা সময়ের দূরত্বে ভোমরা বন্দর অবস্থিত। অতি অল্প সময়ে স্বল্প পরিবহণ খরজে ভারতের কোলকাতাও মহারাষ্ট্রের নাসির থেকে যে কোনো ধরনের ফল জাতীয় পণ্য ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি সম্ভব ।

একাধিক আমদানি কারকের প্রতিনিধিরা জানান, ভোমরা বন্দর দিয়ে ব্যবসা করতে গেলে আমদানিজাত পণ্যের শতভাগ শুল্ক দিতে হয়। আর সোনামসজিদ ও বেনাপোল বন্দরে তিন টনের বেশি ছাড় পাওয়া যায়। ফলে আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

ভোমরা সিএ্যান্ড এফএজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক কর্মকর্তা আমির হামজা জানান, সিলিটের কয়েকটি শুল্ক-স্টেশন দিয়ে ভারতীয় ফল আমদানির ক্ষেত্রে লুটপাট হচ্ছে। আপেল, আনার, কমলা লেবুর আমদানির ক্ষেত্রে অর্ধেক শুল্ক ফাকি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব অসম প্রতিযোগিতার কারণে ভোমরা বন্দরে এখন বেহাল দশা বিরাজ করছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, এই বন্দরে ২০১৯-২০অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত সাত মাসে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ১’শত ৭৪ কোটি টাকা । ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১শত ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিলো ১শত ৪০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১শত ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৬৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি ৩’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম আহম্মেদ জানান, রাজস্ব বোডের আমদানি নীতি মালা অনুযায়ী দেশের সকল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে একই নিয়মে আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এক এক জন কমিশনার তার নিজস্ব চিন্তা ধারায় পোর্ট চালান। সোনা মসজিদ ও বেনাপোল বন্দরে টিআরের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তিনিও শুনেছেন। খুলনা কাস্টমস কমিশনার যেভাবে চাইবে সেভাবে ভোমরা বন্দরে আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়