মাহফুজুর রহমান : দেশের উন্নয়ন হওয়া উচিত আর তা হচ্ছেই, কিন্তু তা অসৎ মানুষদের হাত দিয়ে ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। যতো উন্নয়ন হচ্ছে ততোই অর্থ পাচার হচ্ছে। আমরা তো এমন উন্নয়ন চাইনি। যে উন্নয়নের ভেতরে মাকড়সার জাল? উন্নয়ন প্লাস কর্মসংস্থান একইসঙ্গে হওয়া উচিত ছিলো, কিন্তু তা হচ্ছে না যা হচ্ছে তা উন্নয়ন প্লাস দুর্নীতি। অবশ্য ম্যাক্সিমাম চায়না আর্থিক সহযোগিতায় আর কিছু নিজস্ব কালেকশনে। তবে সব যদি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হতো তাহলে হয়তো দুর্নীতি কম হতো, কারণ তারা প্রজেক্ট দেখভাল করে যা চায়নারা করে না। যা হোক চায়না বাজার হারাচ্ছে এটা ঠিক, তবে সেই বাজার বাংলাদেশে হয়তো আসবে না, যাবে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াতে, ফিলিপাইনে আফ্রিকান রাষ্ট্রে । বাংলাদেশে কাজ আসবে না, কারণ এখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে, যা বায়াররা পছন্দ করে না। বায়ারদের চরিত্র আবার বাঁদরের মতো। গণতন্ত্র চাইবে, কিন্তু আওয়াজ চাইবে না, তাই কি হয়? কারণ আওয়াজ/কেওয়াজ হলে যে তাদের লগ্নী হাওয়া হবে? তাই তাদের দেশের যারা রাজনীতিবিদ তারা আমাদের দেশে গণতন্ত্র চায়, আবার যারা লগ্নীকারক তারা চায় শান্তিপূর্ণ ব্যবসা, গণতন্ত্র থাকুক আর না থাকুক।
ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে গণতন্ত্র হাওয়া, যার কারণে তারা স্বৈরাচারী সম্রাটের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করলো সেটাই আজ সেখানে নেই, বাংলাদেশেও নেই। আমেরিকাও এখন এমনই চায়। আব্রাহাম লিংকন জর্জ ওয়াশিংটনের আমলের গণতন্ত্র এখন আমেরিকাতেও নেই বা তারা তা চায়ও না। আমেরিকার সাধারণ মানুষের হাত থেকে গণতন্ত্র আবার চলে গেছে করপোরেট হাউজের লোকদের হাতে। বাংলাদেশেও তাই, এখানেও গণতন্ত্র এখন করপোরেট হাউজের লোকদের হাতে। তাই তো আমেরিকার শাসকেরাও এখন এই মডেল পছন্দ করে, কারণ কতো সুন্দরভাবে ব্যবসা করা যায়। মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হয়, কিন্তু গণতন্ত্র নেই। ফেসবুক থেকে