নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময়ে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় ছিলো যারা কিনা ঢাকা থেকে উঠে আসতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি দেখা যায় না। সদ্য শেষ হওয়া যুব বিশ্বকাপে দেখা গেছে একাদশের ১১ জনের ৮ জনই উত্তরবঙ্গের। বাকিগুলোও ঢাকার বাইরে। কিন্তু ঢাকার কোনো খেলোয়াড় না থাকার কারণ কি খুঁজলে উঠে আসে নানা অব্যবস্থাপনা ও ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকীকরণের কারণ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক পরিচর্যা করলে ঢাকা হবে ক্রিকেটার তৈরির আঁতুড়ঘর।
এ প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্লেয়ার তৈরির জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেভাবে কাজ হচ্ছে না। তাছাড়া ঢাকায় মাঠ নেই। এটা একটা বড় সমস্যা।
তবে এক সময় গল্পটা ভিন্ন ছিলো। মোহাম্মদ রফিক, মেহরাব হোসেন অপি, শরীফরা, শাহাদাত হোসেন সবাই উঠে এসেছেন ঢাকা থেকে। এক তাসকিন আহমেদ ছাড়া বর্তমানে বড় কোনো মুখ উঠে আসেননি এ রাজধানী থেকে। যা পোড়ায় ঢাকার সাবেক পেসার শরীফকে।
তিনি বলেন, তখন যতটুকু সুযোগ ছিলো ততটুকু কাজে লাগিয়েই সাফল্য এসেছে। এখন সে কাঠামোটা নেই। ঢাকার ক্রিকেট একাডেমিগুলোর অর্থ আছে। মাঠ যা আছে তা দিয়েই ক্রিকেটার উঠিয়ে নিয়ে আসার একটা পথ বাতলে দিলেন সাবেকরা।
তারা বলেন, মান যাচাই করতে হবে। একটা সিস্টেমে আনতে হবে। শুধু ব্যবসা করলে চলবে না। খেলোয়াড়ও তৈরি করতে হবে।
নানা প্রতিযোগিতায় নিয়মিত সাফল্য পাওয়া ক্রিকেট ক্লাবগুলোর চুম্বক অংশই ঢাকার। কিন্তু তা অন্য জেলার ক্রিকেটারদের ধার করে। সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে গলির ক্রিকেটারই হবে একদিন দেশের ক্রিকেটের বড় নাম।