সালেহ্ বিপ্লব : ম্যানচেস্টারের লেজে আগুন জ্বালানোর মূল নায়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট ফুটবল লিকস। এমনিতেই ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও ফরাসি ক্লাব পিএসজি অনেক বছর ধরেই উয়েফার ফিনান্সিয়াল পাওয়ার প্লের (এফএফপি) তোয়াক্কা না করে যেভাবে খুশি টাকা ব্যয় করে আসছে। ক্লাবের অন্দরে নাক গলিয়ে ভেতরের খবর ফাঁস করার ব্যাপারে দুর্দান্ত সাফল্য আছে এই ওয়েবসাইটটির। তারা ঠিক ঠিক ম্যানচেস্টার সিটির হাঁড়ির খবর বের করে নিয়ে এসেছে। আর সেই খবর ছাপিয়ে দিয়েছে জার্মানির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ডার স্পাইসেল। এরপরই ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্তে নামার ঘোষণা দেয়া উয়েফা। প্যাভিলিয়ন ডটকম
ফুটবলে যথেচ্ছভাবে অর্থ ব্যয় ঠেকাতে উয়েফার সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনি এফএফপি আইন চালু করেছিলেন। এফএফপির মূলনীতি অনুসারে, কোনো ফুটবল ক্লাব শুধু তার আয় করা অর্থ থেকেই ব্যয় করতে পারবে, স্বত্বাধিকারীর সম্পত্তি থেকে ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবে না। কিন্তু ফুটবল লিকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সাত বছর ধরেই মালিকের অর্থ অবৈধভাবে বিনিয়োগ করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির মালিক শেখ মানসুর। সাত বছরে তিনি ক্লাবে ২.৭ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছেন। যার বেশিরভাগই তার নিজের সম্পত্তি। যেমন ক্লাবের সঙ্গে ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের একটা চুক্তির বেশ বড় অংশই এসেছে সিটির মালিকের পকেট থেকে।
আর এসব তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ম্যানচেস্টার সিটিকে দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
ইউয়েফার আর্থিক নীতিভঙ্গের(এফএফপি) কারণে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে না সিটি। এর মধ্যেই অবশ্য সিটি সিদ্ধান্তটির পক্ষে উচ্চতর আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে।