সিরাজুল ইসলাম: দ্বীপের পশ্চিমে আট কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়।
কোস্টগার্ডের মুখপাত্র সহকারী পরিচালক লে. কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের ১২ জন নারী এবং তিনটি শিশু। জীবিত উদ্ধারদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী ও তিনটি শিশু। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাইম উল হক বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। সাগরে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলারটি ডুবে যায়।
উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে বের হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
কোস্টগার্ডের তিনটি দল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেন্ট মার্টিন বোট মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
ট্রলার ডুবির খবরটি প্রথমে দেন জেলেরা। এরপর বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ট্রলারটিতে ১৩০ জন যাত্রী ছিলেন। ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লাশগুলো উদ্ধার করে তীরে নিয়ে এলো হৃদয় বিদারক দৃশ্য তৈরি হয়।