মাসুদ আলম: বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ঘটনাস্থল থেকে ১শ গজ দূরে খালের পানির নিচে জমা আবর্জনার স্তুূপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিলো।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসাইন জানান, খালে জমা আবর্জনা অনেকটা পরিষ্কার করা হয়েছে গত চারদিনে। বৃহস্পতিবার ডুবুরিরা সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। দুপুরে তাদের একজনের পায়ে মৃতদেহটি আটকায়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান জানান, গত শনিবার বিকেলে মোহাম্মদনগর বাসার পাশেই খেলার সময় বল আনতে গিয়ে ডুবে যায় তোয়ামনি ওরফে আশামনি। সেদিন থেকেই দুটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু প্রচণ্ড নোংরা পানিতে জমে থাকা আবর্জনার কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছিলো। পুরো খাল ময়লায় পূর্ণ। মাঝে মাঝে ময়লার স্তর এমন হয়ে রয়েছে যে মনে হবে নিচে পানি নেই। কিন্তু কেউ পা দিলে তলিয়ে যাবে। শিশুটিও ওইভাবে তলিয়ে যায়। ময়লার কারণেই তাকে খুঁজে পেতে এত সময় লাগলো। গত দুইদিন ধরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সম্মিলিত ভাবে উদ্ধার অভিযান চলাচ্ছিলো। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিলো। তোয়ামনি স্থানীয় একটি স্কুলের শিশু শ্রেলিতে পড়তো। তার বাবা এরশাদ হোসেনে মুদির দোকানি।
স্থানীয়রা জানান, গত দেড়যুগে খালটির কোনো সংস্কার হয়নি। খালটিতে ময়লার স্তুপ পড়েছে। দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানির কারণে ওই এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাটি বর্তমানে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত। আগে ছিলো শ্যামপুর ইউনিয়ন। এদিকে শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর শতশত মানুষের ঢল নামে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিশুটির বাবা, মা ও আত্মীয় স্বজনরা। তাদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করলেও কান্না থামছেনা। লাশ গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে দাফন করা হবে।