আসিফ কাজল : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা পুনঃনিরীক্ষণে সারা দেশের ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট ৩ হাজার ১৪০ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে শিক্ষকদের ভুলের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার মতো শিক্ষার্থীরা প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল। পরে ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে পরিবর্তিত এই ফল পেয়েছে তারা। গত ৩১ ডিসেম্বর এ পরীক্ষার মূল ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পর দিন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষণ যেহেতু মানুষ করে তাই ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই ধরনের ভুল যারা করেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার রীতি রয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে বিরত রাখাসহ ভুলের মাত্রা অনুযায়ী বোর্ড ও মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় ভুল করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ভুলের মাত্রা বিবেচনা করে তদ্রুপ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
৯টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে দেখা গেছে, ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে আছে দুজন। এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে একজন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭ জন আছে।
নতুন করে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩১৩ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪৩, দিনাজপুর বোর্ডে ৯১, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫৫, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫০, রাজশাহী বোর্ডে ৯৩, মাদরাসা বোর্ডে ৪০, যশোর বোর্ডে ৮, সিলেট বোর্ডে ৪৫ এবং কুমিল্লা বোর্ডে ১১৯ জন রয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রথম ফলে ১০ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৮ হাজার ৪২৯ জন।
এবার দশটি শিক্ষা বোর্ডে ফল চ্যালেঞ্জ করে এ বছর মোট আবেদন করেছিল এক লাখ ৩ হাজার ৯৯৪ জন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ১৪০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে, যারা সবাই পাসের মুখ দেখেছে। এদের মধ্যে ফেল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করা শিক্ষার্থী ৭৮৪ জন।
ফেল থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে আছে ১৯০ জন। এছাড়া বরিশাল বোর্ডে চারজন, দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৫, রাজশাহী বোর্ডে ৫১, মাদরাসা বোর্ডে ১৭০, যশোর বোর্ডে ৬২, সিলেট বোর্ডে ২৮ এবং কুমিল্লা বোর্ডে ১০৪ জন।