আশরাফুল আলম খোকন : তারা যখন বলে ‘আপনার একটি ভোটে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। যিনি এতিমের টাকা পর্যন্ত মেরে খেয়েছেন। তখন আমরা বলি, ‘আপনার একটি ভোটে, বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে’। তারা যখন পেট্রলবোমা মারে, মানুষ হত্যা করে, হাজারো মানুষের দেহ ঝলসে দেয়। শেখ হাসিনা তখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ইউনিট তৈরি করেন। তাদের দুর্নীতির কারণে যেখানে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। আর শেখ হাসিনার নাম সেখানে বিশ্বের সৎ প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় উঠে আসে। তারা যখন আকাশের দিকে তাকায় হায় হুতাশ করে। শেখ হাসিনা তখন মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়। মহাকাশেও বাংলাদেশের গৌরবময় অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে। তারা যখন শুধু খাম্বা তৈরি করে, বিদ্যুতের দাবিতে উত্তাল কানসাটে ২৭ জন মানুষকে হত্যা করে। শেখ হাসিনা তখন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সেঞ্চুরি উদযাপন করে এবং দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। তারা যখন সারের দাবিতে কৃষকের মিছিলে গুলি করে কৃষক হত্যা করে।
শেখ হাসিনা তখন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ করে। ডিজিটাল কৃষিসেবা দেয়। তারা যেখানে দেশবাসীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনা সেখানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করে। তারা যেখানে দুর্নীতিবাজদের মুক্তির জন্য নির্বাচনী ইশতেহার দেয়। শেখ হাসিনা সেখানে দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর। নিজ দল থেকেই শুরু করেন শুদ্ধি অভিযান। তারা যেখানে আব্দুর রহমান- বাংলা ভাইদের সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনা সেখানে দেশে জঙ্গিবাদ দমন করে। জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বে সফল রাষ্ট্রের উপাধি পায়। তাদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণে যেখানে প্রাণপ্রিয় দেশ বিদেশের মাটিতে কালো তালিকাভুক্ত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ হয় বিশ্বের সম্ভাবনাময় পাঁচটি দেশের একটি। তারা যেখানে রাজাকারদের মন্ত্রী বানায়। শেখ হাসিনা সেখানে বিশ্ব মোড়লদের বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করে। তারা যেখানে বলে পদ্মা সেতু সম্ভব নয়, ড. ইউনূসকে দিয়ে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। শেখ হাসিনা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে। তারা যেখানে নিজেদের ভাগ্যবদলে ব্যস্ত। শেখ হাসিনা সেখানে দিন বদলে ব্যস্ত। তারা যেখানে দেখে সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সেখানেই দেখেন সম্ভাবনা। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে বিচার করুন। কর্ম দেখে বিচার করুন। দেশ আপনার, সিদ্ধান্ত আপনার। জয়তু শেখ হাসিনা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :