শিরোনাম
◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড ◈ পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল: পাসপোর্টের নতুন নিয়মে চমক ◈ আনন্দ বেদনার নারী কাবাডি বিশ্বকাপের পর্দা নাম‌লো ◈ মব ভাইরাসের তাণ্ডবে অতিষ্ট দেশ: ইসলামী বক্তা তাহেরী (ভিডিও) ◈ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নতুন দিগন্ত: অ্যামাজন-ইবে হয়ে রপ্তানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:২৮ দুপুর
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আঠারোর আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ৯৫ ভাগ নারীর

যুগান্তর : বাংলাদেশে বড় একটি জনগোষ্ঠী (১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী) রয়েছে। প্রজননক্ষম এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৯ ভাগের বেশি। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অসচেতনতার কারণে শতকরা ৯৫ ভাগ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে ‘অধিকার এখানে, এখনই বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম’ (আরএইচআরএন) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন-২০২০’ এর শেষ দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বলা হয়, অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও উপলব্ধি না থাকায় কিশোরী মাতৃত্বহার বাড়েছ। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয় বরং সচেতন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ সময় বক্তারা বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে তরুণ নেতৃত্ব ও ভূমিকা, যৌনপ্রজনন স্বাস্থ্য জ্ঞান, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের দায়িত্ব ও লিঙ্গ সমতায় সামাজিক আন্দোলনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ অধিকার বিষয়ক কাজের সঙ্গে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়াকিং বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন, চর্চা ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত করার কথা বলেন।

সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন হলেও এখনো কিশোরী মাতৃত্বহারের উল্লেখেযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এতে করে বোঝা যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই কম। কারণ স্বাস্থ্যসেবা বিষযক যেসব নীতিমালা, কর্মসূচি ও সেবা সমূহ রয়েছে। সেখানে কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের জীবন বাস্তবাতা, প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো বিবচনায় নিয়ে তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক প্রতিফলন হয় না। তাই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে লজ্জা না করে সচেতন হতে হয়ে কিশোর-কিাশোরী ও তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্যতা দূরীকরণে সামাজিক সহনশীলতা এবং যুববান্ধব যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বরোপ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়