সিরাজুল ইসলাম : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গুচ্ছগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দগাও ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম জামে মসজিদ খতিব মাওলানা আবু ফজল দ্বোহা শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদেরকে কলিমা পড়ান।
এর আগে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দিনের আদালতে অ্যাফিডেভট করে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, রহিমপুর গুচ্ছগ্রামে আবুল্লাহ (৩০) নাম পরিবর্তনে করে আবদুল্লাহ, স্ত্রী শ্রীমতি বালা দাসের (২৫) স্থলে মোছা. রহিমা জান্নাত হামিদা, বড় মেয়ে নন্দিনীর (৬) স্থলে আয়েশা জান্নাত আক্তার, ছোট ছেলে মনি অনুরাগের স্থলে মো. রায়হান আহমদ রাহি নাম রেখেছেন তারা।
আবদুল্লাহ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ শেষে জানান, শৈশব থেকেই আমি ইসলাম ধর্মের প্রতি দুর্বল ছিলাম। বিয়ের পর সংসারী জীবনের একপর্যায়ে স্ত্রীর কাছে বিষয়টি প্রকাশ করলে সে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দীর্ঘ সময়ে মুসলমানদের রীতিনীতি পর্যালোচনা করে আল্লাহ এবং প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) প্রতি বিশ্বাস রেখে সপরিবারে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। তিনি বলেন, ফয়েজ আহমদ ও গাড়িচালক হাসান আহমদ নামে দুই মুসলিম ভাই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়ীরা শুক্রবার বিকালে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সপরিবারে খাবার খাইয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক আইনজীবী আবুল কালাম কেনু মিয়া বলেন, কয়েক দিন আগে আবুল্লাহ আমাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে জানায়। আমি তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এখন তিনি আমার মুসলিম ভাই। তাকে ও তার ছেলেমেয়ের লেখাপড়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান। সূত্র: যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :