শাহজালাল ভূঞা : সোনাগাজী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের উপক‚ল ঘেঁষে মুহুরী সেচ প্রকল্প। নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক।
১৯৮২ সালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সেচ প্রকল্প নির্মিত হয়। এ প্রকল্পের ৪০ গেট বিশিষ্ট রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যাম রয়েছে। এর ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা ৬ একর ভূমির ওপর ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয়। এর ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। শুধু দরকার মানসম্মত আবাসিক হোটেল।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, অপার সম্ভাবনাময় এ এলাকা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো। কারণ প্রতিদিন প্রকল্প এলাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত লোক প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসেন।
ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডিও লেটার প্রদান করা হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই মুহুরী প্রকল্প এলাকাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করব। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান