ইয়াসিন আরাফাত : বছরের পর বছর ধরে ইয়াজিদি মেয়েদের ওপর নিজেদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করে চলেছে আইএসআইএস জঙ্গিগোষ্ঠী৷ তাদের রাগ, তাদের আক্রোশ থেকে বাঁচতে পারে না কোন মেয়েই৷ ৮ হোক বা ৮০, সব বয়সের মেয়েদের ওপরেই চোখ তাদের৷ কোলকাতা ২৪
১-৯বছর বয়সের বাচ্চারা তাদের কাছে মূল্যবান হীরার থেকেও দামি৷ পরিণত বয়সে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার আগেই, ছোটবেলাতেই বিক্রি করে দেয়া হয় এদের৷ আর এক্ষেত্রে ছোটদের মূল্য সব থেকে বেশি ধার্য করেছে এই জঙ্গিরা৷ ইয়াজিদি নারী এবং শিশুদের অপহরণ করার পর তাদের অবর্ণনীয় কুমারিত্ব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, নির্দিষ্ট জায়গায়৷ তারপর পরীক্ষার ফলাফলই তাদের মূল্য ধার্য করে দেয়, আর সেই অনুযায়ীই তাদের পাঠানো হয় বিভিন্ন জায়গায় যৌনদাসী হিসেবে৷
এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে যে সব মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য নানাভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে, তাদের ভাগ্যে জোটে নির্যাতন৷ তাদের প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য অথবা স্বামী-পুত্রকে চোখের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে এই জঙ্গিরা৷ শোনা যায়, বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে এমনই এক মহিলা আগুনের ওপর ঝাঁপ দেয়, নিজের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য৷ যৌন কার্যে সম্মতি না দিলে, অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাদের৷ এমনকি লোহার খাঁচার মধ্যে তাদের ঢুকিয়ে অগ্নিসংযোগের খবরও শোনা গিয়েছে৷
শুধু তাই নয়, এরা অনেকক্ষেত্রে মেয়েদের অপহরণ করে বিক্রিও করে না, রেখে দেয় নিজেদের কাছেই৷ নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য এরা ঘন ঘন অপহরণ করে, অথবা মেয়ে কেনা বেচা করে৷
সারাদিন ধরে চলে যৌন নির্যাতন৷ আর সেই কাজে বাধা দিলে ভাগ্যে জোটে প্রহার৷ সেই সঙ্গে বাড়ির কাজ, হাজার এক ফাই ফরমাশও মেনে চলতে হয় এই মেয়েদের৷ খাওয়া দাওয়া, যাকে বলে নাম কা ওয়াস্তে, শুধুই শরীর শরীর খেলায় এই জঙ্গি গোষ্ঠী পিষে ফেলে হাজার হাজার শরীর৷ তাদের লালসার হাত থেকে রেহাই পায়না, ৭ বছরের বাচ্চাও৷ রেহাই পায় না গর্ভবতী মহিলা৷
আইএসআইএস জঙ্গিদের হাতে ২৪ঘন্টায় ২৪ বারের বেশিও ধর্ষিতা হয়েছে বহু মেয়ে৷ তাদের জীবনের কোনো দামই নেই এইসব জঙ্গিদের কাছে৷ যতক্ষণ মেয়েদের শরীরে যতক্ষণ প্রাণ আছে, ততক্ষণই তাদের ভোগ করে চলে এরা৷ শুধুমাত্র ভোগ্যপণ্য আর অত্যাচারের জন্য দিনের পর দিন এরা এই খেলায় মেতে রয়েছে৷ চলছে অপহরণ, খুন, ধর্ষণ৷ সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব