শেখ মিরাজুল ইসলাম : ‘প্রথম আলো’ওয়ালাদের কেউ নই আমি। গত বছর ‘নার্সিসাসে প্রজাপতি’ সূত্রে মুর্তজা বশীরের ছাত্র হিসেবে মতিউর রহমান এসেছিলেন আমার বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। সম্ভবত সেটাই আমার জন্য প্রথম ও শেষ ‘প্রথম আলো’ সৌজন্য। ‘প্রথম আলো’ অনুষ্ঠানটিতে কোন বক্তা কী বলেছেন সেটা ছাপিয়েছে। মূল বইটি চাপা পড়ে গেছে। সেই সূত্রে আমার বইয়ের বিক্রিবাট্টা বেড়েছে বলে আমি শুনিনি। কারণ সেটা ‘প্রথমা’র বই ছিলো না। ‘প্রথম আলো’ এমনই স্বৈর-গোষ্ঠীকেন্দ্রিক একটি প্রতিষ্ঠান। পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি ও সংবাদ পরিবেশনের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিতে ‘কোথায় একটা কিন্তু আছে’ জাতীয় ট্যাগ লেগেই থাকে। তারপরও আমরা প্রথম আলো পড়ি। তাকে গুরুত্ব দিই, আবার ভুল-ত্রুটি নিয়ে ট্রল করি, হাসাহাসি করে সময় কাটাই। কিশোর আবরারের মৃত্যুর পর কঠিন কঠিন শব্দে আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছি। আইনি সমাধান চেয়েছি। কিন্তু ভুলেও চাইনি ব্যক্তিমানুষগুলো হয়রানির শিকার হোক। আইনের কালো হাত কতো বড় হতে পারে তা আমরা আগেও দেখেছি। আর এটা স্মৃতিতে আছে বলেই কখনো চাই না শত্রুও এই জটিলতায় পড়ুক।
মতিউর রহমান, আনিসুল হক ও বাকি আটজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এমন সময়ে হলো যখন ইস্যুর পর ইস্যুতে আমাদের চোখ ট্যারা হওয়ার দশা। আইন অবশ্যই নিজের গতিতে চলুক। পথের কাঁটা দূর করতে আস্ত বৃক্ষকে যেন উপড়ে না ফেলা হয়। ‘প্রথম আলো’র আলোকিত মানুষগুলোকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জেরে জেল-হাজতে তাদের দেখতে যারা উৎসাহী, তারা আদতে গণতন্ত্রী নন। রাষ্ট্রের মগজের ভিতর কি খেলা চলে তার কতোটা আমরা আমজনতা বুঝি? আমরা তো শুধু প্রথম আলো পড়ি আর সব বুঝে যাই। ‘প্রথম আলো’র পথের কাঁটা সরিয়ে নিন। ফেসবুক থেকে