ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামে বিয়ের ভুয়া কাবিন বানিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা করছে কয়েকটি চক্র।সহজ সরল নারী-পুরুষদের ফাঁদে ফেলে চক্রগুলো হয়রানির পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে দাবি করছে লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি সময় টিভির অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে আসে। সময় টিভি
চট্টগ্রামের পাটিয়া উপজেলার ধলঘাটের বাসিন্দা এরশাদ-শাহিনা দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০০ সালে। তাদের ঘরে দুই মেয়ে এক ছেলে সন্তান। হঠাৎ ২০১১ সালে খবর আসে দ্বিতীয় স্ত্রী নিলুফার আকতার এরশাদের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন নগরীর কোতোয়ালি থানায়।
এ খবরে হতভম্ব পরিবারের সবাই। পরে অবশ্য জানতে পারে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে একটি চক্র মামলাটি করেছে। এখানেই শেষ নয়। ২০১৭ সালে আবারো নিলুফার ভুয়া কাবিননামায় ঢাকার মিরপুর থানায় দুটি মামলা করা হয় যৌতুক আর নারী নির্যাতন আইনে। ঢাকা-চট্টগ্রাম দৌড়াদৌড়ি আর মোট ৬টি মামলা লড়তে লড়তে সর্বশান্ত এখন পরিবারটি।
এরশাদের স্ত্রী শাহিনা ইয়াছমিন বলেন, আর পারছি না। আমরা এখন নিরুপায়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিয়ের কাজী জামাল উদ্দীন ও সহকারী পারভেজ আলী, কাইছার, ফরিদ এবং কথিত স্ত্রী নিলুফারসহ ৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি চক্র ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে এ প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
নগরীর সদরঘাট মেট্রো প্লাজার নিচে কাজী অফিসে গেলে সময় টিভি আসার খবরে পালিয়ে যান কাজী জামাল উদ্দীন। তবে তার সহকারী কাইছার ওরফে ফয়সালকে পাওয়া গেলেও কথা না বলে উল্টো তেড়ে আসে ক্যামেরার দিকে। ভুয়া কাবিননামা বানানোর অপরাধে কয়েকবার কারাগারে গেলেও জামিনে বের হয়ে এখনো প্রকাশ্যে একই কাজ করছেন বিয়ের কাজী জামাল।
সমাজ বিজ্ঞানীর মতে প্রশাসন, আদালতসহ সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর দুর্বলতা কারণে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে সহজ-সরল মানুষগুলো।
সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, রয়েছে আমাদের আদালতের দুর্বলতা, রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের মারাত্মক দুর্বলতা।
এ ধরনের প্রতারণায় কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পুলিশের অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার স্যামল কুমার নাথ। তিনি বলেন, গোয়েন্দা যারা আছে তাদের আমরা কাজে লাগাব, যাতে এ তথ্যগুলো নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি।
চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট, নিউ মার্কেট ও কোতোয়ালি এলাকায় বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র এ ধরনের ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :