শাহীন চৌধুরী: ২০২১ সালের মধ্যে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ১ লাখ ৩১ হাজার গ্রাহককে স্মার্ট মিটার দেয়া হবে। ঐ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহকারি কোম্পানি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এই কাজের জন্য সম্প্রতি চীনা কোম্পানি সেনজেন স্টার ইন্সট্রুমেন্ট এবং অকুলিন টেকের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
সূত্রমতে, নতুন এই প্রকল্পে মিটার বিতরণের খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এরমধ্যে সরকার দিচ্ছে ৪০০ কোটি ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, নেসকো দেবে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। প্রথম পর্বের খরচ ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। চলতি বছর অক্টোবর মাসের মধ্যে এই মিটার বিতরণ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এই মিটার লাগানোর পর কারিগরি ছাড়া লোকসান শূণ্যের কোঠায় আসবে বলে জানানো হয়েছে।
এখানে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৫৩টি একক মিটার, আট হাজার ৯৫টি তিনফেজ মিটার এবং ৮৩৯টি ডিসিইউ স্থাপন করা হবে। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সম্প্রতি নেসকোর পক্ষে কোম্পানি সচিব সৈয়দ আবু তাহের এবং চীনা কোম্পানি সেনজেন স্টারের প্রেসিডেন্ট লাউ চুন ডেন এবং অকুলিন টেকের সাদাব সাজ্জাদ নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (ইপিআরসি) এর চেয়ারম্যান সুবীর কিশোর চৌধুরী, নেসকোর চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সৈয়দপুর ও নীলফামারীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নেসকো। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি না থাকলে সরকারের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। এজন্য গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে হবে। সেবার মান বাড়াতে পারলেই সকল কার্যক্রম স্বার্থক হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাস্তবতায় স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা নিয়মিত তদারকি করতে হবে। এটা প্রকৌশলীদের দায়িত্ব। ভবিষ্যতে যাতে আরও বড় সিস্টেমে বা বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে গেলেও এই মিটারে সমস্যার সৃষ্টি না করে সেদিকেও নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।