শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হুজুর আর বাউলের তর্ক চলুক কোনো সভাপতি ছাড়াই

 

ফারুক ওয়াসিফ : অবশ্যই আমি শরীয়ত বয়াতির মুক্তি চাই। তা চাওয়ার আগে যে আইনে তাকে আটক করা হয়েছে সেই আইনের বাতিল চাই এবং অবশ্যই আমি ধর্ম বনাম প্রগতি, মারেফত বনাম শরিয়তের ফ্যাকড়ায় নিজেকে বা আর কাউকে ফেলতে চাই না। এটা রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির অধিকারের মামলা, এখানে ধর্মের বিষয়াদি টানাটানি করে কোনো লাভ নেই। বরং ক্ষতিই বেশি। আমরা নিজস্ব মহলে অনেক কথা বলি, যেগুলো ভিন পাবলিকের কাছে বলি না। এখন আপনি আমার নিজস্ব মহলে বলা কথা, পছন্দের পাবলিকের মধ্যে করা মন্তব্যকে ভিডিও করে ছেড়ে দিলেন এবং আমি যেগুলো যাদের সামনে বলতে চাইতাম না সেগুলো তাদের সামনে হাজির হলো এবং তারা অপমানিত বোধ করলো। তারপর তারা মামলা করে রাষ্ট্রপক্ষকে সুযোগ করে দিলো উভয়পক্ষের নাকে দড়ি বাঁধার। এখানে দোষী কি আমি, নাকি ওই মিডিয়াম এবং রাষ্ট্রের হাত? এজন্যই বোধহয় মার্শাল ম্যাকলুহান বলেছিলেন, ‘মিডিয়াম এজ দি মেসেজ’। মিডিয়ামের কারণে মেসেজর অর্থ বদলে যায়।

বাউল-বয়াতিরা নিজেদের সমাজে অনেক যুক্তিতর্ক করেন। গ্রাম সমাজের মানুষ সেসবে ভাবনার আর বিনোদনের খোরাক পান। হুজুরেরাও অনেক কথা বলেন, সেসবেও ভাবনা ও বিনোদন দুই-ই থাকে। ওইসব বয়ান সভায় বক্তা আর শ্রোতা মোটামুটি একই চেতনার লোক বলে কেউ কারও কথায় তেমন মাইন্ড করে না। আবার শরিয়ত-মারেফত তর্কের দীর্ঘ সিলসিলাও আমাদের ঐতিহ্য। এটা গ্রাম সমাজের নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক ডায়ালেকটিসের পার্ট। হুজুর আর বাউলের তর্ক চলুক কোনো সভাপতি ছাড়াই। আগে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে রাষ্ট্র এসবে নাক গলাতো না বা সে রকম নজরদারির ভিডিও প্রযুক্তি এবং আটককারী আইন না থাকায় সমস্যা বিবাদ বাড়তে পারতো না। তারাকান্দার বয়ান শুনে নিউইয়র্কনিবাসী বুদ্ধিজীবী খেপে উঠতো না।

রাষ্ট্রপক্ষও কখনো হুজুরপক্ষে কখনো চেতনাপক্ষে দাঁড়িয়ে ডিভাইড অ্যান্ড রুলের খেলার মতো ধড়িবাজি কমই করতো। তাই ব্যাপার এতো বাড়তো না। তাই আগে থেকে এঁকে রাখা হাডুডু খেলার কোর্টের এইপারে গান আর ওইপারে ধর্মকে ফেলে খেলার বল্টু হইয়েন না।

ঘটনা জট পাকালো যে আইনের কারণে সেই আইন বাতিল করাই আসল কথা। আর ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণেই সাধারণ কথাবার্তা ও ছবি যে অসাধারণ ভজঘট পাকাচ্ছে, সে বিষয়ে হুঁশ আনা প্রয়োজন। মিডিয়ামকে বিশ্বাস করে মানুষকে ঠকায়েন না। তা মিথিলার ভিডিও হোক বা হোক শরিয়ত সরকারের বাহাস। নিজেদের মতো মানুষের জমায়েতে বলা কথাকে ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করার এই ডিজিটাল ফাঁদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আজকাল আমাদের কথা, মেলামেশা, ভাষা ও নিরাপত্তাকে বদলে দিয়েছে। মিডিয়ামের কারণে মানুষকে বিপদে ফেলবেন না মাহামান্য রাষ্ট্র এবং সহমত ভাইয়েরা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়