শাহীন চৌধুরী: বহুল আলোচিত পায়রা কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট মার্চের প্রথম সপ্তায় উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত হবে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরু করতে পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সঞ্চালইনটি উদ্বোধন করা হয়। পিজিসিবি জানায়, দ্বৈত সার্কিটের উচ্চভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি পটুয়াখালি সদর- বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল হয়ে গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে নির্মিত ৪০০/২৩০ গ্রীড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়েছে।
পিজিসিবি আরো জানায়, এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে পায়রা, সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও লাউকাঠি নামে ৪টি খরস্রোতা নদী পার করতে হয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কমিশনিংসহ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ করা হবে।
সূত্র জানায়, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি গত বছর জুলাই মাস থেকে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত। কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সময়মতো কাজ শেষ হওয়ার একটি দৃষ্টান্ত। কিন্তু সঞ্চালন নির্মিত না হওয়ায় নির্ধাারিত সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
এ প্রসঙ্গে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মওলা আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, শিগগিরই আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কমিশনিং করবো। তারপরেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি শেষ। মার্চের প্রথম সপ্তায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের অন্যতম পায়রা কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ৫০ ভাগ ইন্দোনেশিয়া থেকে এবং ৫০ ভাগ অষ্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হবে। জাহাজে আসা কয়লা খালাশের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাধিক নিজস্ব জেটি রয়েছে যাতে কোন বন্দরের ওপর নির্ভর করতে না হয়। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি বছর ৪ মিলিয়ন টন বা ৪০ লাখ টন কায়লা ব্যবহৃত হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সব সময় দুই মাসের কয়লা মজুত রাখা হবে।
বিপিডিবি এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ক্রয় করে তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির লাইফ টাইম ধরা হয়েছে ২৫ বছর।