হৃদয় ইসলাম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শীতের ভারী মৌসুমে শুক্রবার ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। টানা বৃষ্টিপাতে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। ঠাণ্ডার সাথে বৃষ্টিতে শিশুদের নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরের পর হালকা রোদের আলো দেখা গেলেও বিকাল ৪টার পর থেকে পুনরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নিম্নআয়ের লোকদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়।
চা বাগান ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতকালে এমনিতেই জনজীবন বিপর্যস্ত থাকে। তার উপর শীতের এ সময় শুক্রবার ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত নামে। বৃষ্টিপাতের ফলে দিন আনে দিন খায় এমন লোকদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। আকষ্মিক বৃষ্টিপাত দেখা দেয়ায় দিনমজুর ও বাসাবাড়ি থেকে লোকজন বের হতে পারেনি। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
দিনমজুর দেওরাজ রবিদাস, অনুরোধ রবিদাস, মানিক মিয়া বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে রোজগার করলেও শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত থাকায় কোথাও বের হওয়া সম্ভব হয়নি। একদিন রোজগার না করলে খাবার দাবার নিয়ে টানাপোড়েন করতে হয়।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, শীতের সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ নানা ধরণের শাকসবজি বিনষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
শীতে ইটকলে ইট তৈরি কালে আকস্মিক মাঝারি বৃষ্টিতে ইটকলগুলোর ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন কাজের অপেক্ষায় থাকা ৯০০ মিটার এলাকার ভাঙ্গা গর্তে কাদা ও ময়লা পানি জমে এলাকার বেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। উন্নয়ণকাজ চলা শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের অনেকাংশের পাথর উঠে কাদা ও ময়লা পানি জমে গেছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে শীতের ঠান্ডায় শিশুদের মধ্যে নানা ধরণের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, শীতে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এসব রোগের প্রদুর্ভাব বাড়ছে। তাছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে ঠান্ডার পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে শিশুদের মধ্যে আরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার। তাপমাত্রা ছিলো ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন