মাসুদ রানা : কতো না তুচ্ছ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আপনারা বিদেশে যান। তাতে দেশের কী উদ্ধার হয়েছে বলতে পারেন? বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি দেশের উদ্ধার করতে চান, আমি বলবো, আপনাদের উচিত কীভাবে হাগতে ও মুততে হয়, তার প্রশিক্ষণ নিতে কোনো একটি সভ্য দেশে যাওয়া। কারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রাকৃতিক কর্ম মোটেও সভ্যতার সঙ্গে সম্পাদিত হয় না আপনার দেশে। আর এটি প্রতীয়মান হয় রাস্তাঘাটে এই প্রাকৃতিক ক্রিয়ার গণউৎপাদন দেখলে। ভদ্রলোকেরা কি আমার ব্যবহৃত ‘হাগতে’ ও ‘মুততে’ শব্দ দেখে অস্বস্তিচ্ছেন? ‘হাগ্’ ও ‘মুৎ’ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক কর্মদ্বয় বোঝাতে আর কোনো মৌলিক বাংলা ধাতু আছে, বলতে পারেন কি? আমি মনে করি ‘হাগ্’ ও ‘মুৎ’ হচ্ছে চমৎকার দুটি ধাতু, যার সঙ্গে অতিরিক্ত কোনো ক্রিয়া যোগ না করে কেবল পুরুষ ও কাল অনুসারে প্রত্যয় যোগ করে ব্যবহার করা যায়। যেখানে আমরা সাশ্রয়ে ‘হাগুন’ বা ‘মুতুন’ বলতে পারি সেখানে কেন ‘পায়খানা করুন’, ‘প্র¯্রাব করুন’ কিংবা ‘টয়েলট করুন’ বা ‘বাথরুম করুন’ বলবো? মনে রাখবেন, যৌগিক ক্রিয়ার চেয়ে মৌলিক ক্রিয়ার সংখ্যাধিক্য একটি ভাষার অন্তর্নিহিত শক্তির সূচক।
২. গত অক্টোবরে ঢাকা এবং ডিসেম্বরে কলকাতা গিয়ে রাস্তাঘাটে বেশুমার আবর্জনা, বিপুল মলমূত্র, অসহ্য দুর্গন্ধ ও বাঙালি মানুষের বন্য আচরণ প্রত্যক্ষ করে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে বাঙালি জাতি কি আদৌ সভ্য হয়েছে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দুত্ববাদী হয়েও একবার বলেছিলেন, দেশে মন্দিরের চেয়ে শৌচালয় নির্মাণ করা অনেক বেশি জরুরি। আমি ভাবি, বাংলাদেশে কি এমন কেউ আছেন, যিনি বলতে পারবেন রাস্তাঘাটে মসজিদ নির্মাণের চেয়ে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা নির্মাণ বেশি জরুরি? বুজুর্গদের কাছে বেহেশত ও দোজখের যে বিবরণ শুনেছি, তাতে আমি দোজখের সঙ্গে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠের বাংলাদেশের, আর কাফির-সংখ্যাগরিষ্ঠের সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বেহেশেতের মিল লক্ষ্য করেছি। অথচ এই সিঙ্গাপুর একসময় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত একটি জেলে-বন্দর ছিলো। ইসলাম নাকি বলে, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’। যদি তাই হয়, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও লোকজন এতো অপরিষ্কার, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত কেন? এটিও কি ইহুদি-ষড়যন্ত্র? অসভ্য! ল-ন, ইংল্যা-
আপনার মতামত লিখুন :