আসিফুজ্জামান পৃথিল : বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশটির সকল ধর্ম ও বর্ণের নাগরিকরা। তবে মোদী সরকার বলছে, এতে তাদের কিছু করার নেই। কারণ ২০১১ সালে মনমোহন সিং সরকারের খসড়া ম্যানুয়ালেও মুসলিমদের উৎসব বাদ দেয়া হয়েছিলো। স্ক্রল, আনন্দবাজার
৩৭ পাতার এনপিআর ম্যানুয়ালের ৩২ নম্বর পাতায় অ্যানেক্সার ৫-এ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। সেখানে হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুসলিমদের কোনও উৎসব বা স্মরণীয় দিন বা তিথির উল্লেখ নেই। তবে জাতীয় নাগরিক পুঞ্জির ম্যানুয়ালে মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের তালিকা কোনো নেই তা ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক প্রমাণ করতেই এমনটি করা হয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে গোটা ভারতে এনপিআর-এর জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করতে চায় কেন্দ্র। সেই তথ্য সংগ্রহের সময় জন্ম তারিখ এবং স্থানের কথা জানাতে হবে নাগরিকদের। এ বারে ওই তালিকার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, অনেকেই নিজের জন্মের দিনক্ষণ সঠিক মতো বলতে পারেন না। সে জন্য বড় কোনও ঐতিহাসিক ঘটনা অথবা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসব বা ধর্মীয় রীতির কথা মনে করিয়ে সম্ভাব্য জন্মতথ্য নথিবদ্ধ করার উপায় রয়েছে ওই ম্যানুয়ালে। ভারতে বসবাসকারী কোনও মুসলমান যদি তার জন্মের দিন ক্ষণ না জানেন বা ভুলে গিয়ে থাকেন, তাদের উৎসব বা রীতির কথা মনে করিয়ে এনপিআর-এ জন্মতথ্য নথিবব্ধ করার চেষ্টাই করছে না কেন্দ্র সরকার। ফলে কম শিক্ষিত মুসলিমরা বড় ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন।