দেবদুলাল মুন্না : ভ্লাদিমির পুতিন। ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র কর্মকর্তা। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন।ক্ষমতার থাকার ২০ বছর পূর্ণ হলো। তিনি এখন বিশ্বে প্রভাবশালী নেতা। খোদ আমেরিকাও তাকে সমীহ করে চলে। রাশিয়ার সংবিধানমতে, তিনবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না কিন্তু পুতিন নিজের অন্যতম বিশ্বস্ত দিমিত্রি মেদভেদেভকে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে হন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র বিবিসি ও এএফপি।
ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে রাশিয়া। পুতিন ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় দ্বিতীয়বারের মতো চেচনিয়া যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি অবরোধ করে রাখে রুশ সেনারা। সে সময় তিনি জনগণের কাছে হিরো বনে যান ।
২০০০ সালের পুতিন নির্বাচনের মাধ্যমে ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। ওই বছরের আগস্টে কৃষ্ণ সাগরে কার্স্ক সাবমেরিন বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। এতে ১১৮ নাবিক মারা যান। ২০০১ সালে বুশের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয়। ২০০৩ সালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি রাশিয়ায় যান ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য। রানির আমন্ত্রণে পুতিন ব্রিটেন যান ২০০৩ সালে। ১৮৭৪ সালের পর পুতিনই প্রথম সরকারপ্রধান, যিনি যুক্তরাজ্য যান। বিশ্ব রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের লক্ষ্য হলো রাশিয়াকে আবার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী করা। ২০১২ সালে ক্রেমলিনে আবার ফিরে আসার পর অনেক ইতিবাচক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :