শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৫ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৭:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘দেশপ্রেম’, ‘পাকপ্রেম’ এবং ‘ভারত বিরোধিতা’

মোহাম্মদ এ আরাফাত : একাত্তরে বাংলার মানুষ যখন দেশমাতৃকার স্বাধীনতা আর সম্মানের জন্য লড়ছিলো, তখন তাদের ‘ভারতের চর’ বলে আখ্যায়িত করতো পাকিস্তানি হত্যাকারী আর তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকারের দল। এতো বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে আক্রমণ করার জন্য তারা একই ভাষা, একই শব্দ ব্যবহার করে। শেরে বাংলা ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারা সবাই পাকিস্তানিদের দ্বারা ভারতীয় দালাল হিসেবে ইতিহাসের বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত হয়েছিলেন। পাকিস্তানিদের চোখে সব মুক্তিকামী, দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় চর ছিলো।

আজকের প্রেক্ষাপটও সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশপ্রেমী, ‘জয় বাংলা’র অনুসারীরা পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া প্রেতাত্মাদের কাছে ভারতীয় দালাল। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সত্য তথ্য তুলে ধরার মাধ্যমে আটকেপড়া পাকি প্রেতাত্মাদের মিথ্যাচারের জবাব দেয়া দেশপ্রেমের অংশ। আমরা পাকিস্তানের বিরোধিতা করি কারণ আমরা দেশপ্রেমী, যারা ভারত বিরোধিতা করে তাদের অনেকেই পাকপ্রেমী। দেশপ্রেম থেকে ভারত বিরোধিতা করলে অসুবিধা নেই, কিন্তু পাকপ্রেম থেকে বিরোধিতা করলে সেই রাজাকারের বংশধররা দেশপ্রেমী হয়ে যাবে না। কারণ পাকপ্রেমীরা ৭১-এ বাংলাদেশের বিরোধিতাও করেছিলো। ২. একাত্তরে বাংলার মানুষ যখন দেশমাতৃকার স্বাধীনতা আর সম্মানের জন্য লড়ছিলো, তখন তাদের ‘ভারতের চর’ বলে আখ্যায়িত করতো পাকিস্তানি হত্যাকারী আর তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকারের দল। এতো বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে আক্রমণ করার জন্য তারা একই ভাষা, একই শব্দ ব্যবহার করে।

সুতরাং আজকের বাস্তবতায়, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী তথা বাংলাদেশের বিরোধী কারা, আটকেপড়া পাকি ভূত কারা, তা বোঝা মোটেই কষ্টসাধ্য নয়। সামনের দিনগুলোতে তাদের সঙ্গেই আমাদের লড়তে হবে। এ লড়াই অবশ্যম্ভাবী এবং এ লড়াইয়ে ৭১-এ জয়ী হয়েছি আবারও হবো, জিততেই হবে। না হলে বাংলাদেশ হেরে যাবে।

‘বাংলাদেশ’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ’, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা বাংলাদেশের পক্ষশক্তি, আমাদের বাবার সম্পত্তি। ৭১-এ তাই ছিলো, এখনো তাই আছে। তবে হ্যাঁ পাকিরা এই বাংলাদেশের ভূখ-টা চেয়েছিলো, আর কিছু নয়। এই ভূখ-কে তারা এবং তাদের দালালদের দিয়ে মুক্তিপাগল বাঙালিমুক্ত করতে চেয়েছিলো। গণহত্যা করেছিলো। যেমন পাকি সেনারা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের ভূখ-টি বাঙালিমুক্ত করতে চেয়েছিলো, এখনকার পাকি ভূতরাও তাই চাচ্ছে। তখনো মুক্তিপাগল বাঙালি এবং দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিরা এবং তাদের সহযোগীরা ভারতীয় দালাল বলতো, এখনো এই পাকিদের প্রেতাত্মাগুলো একই কথা বলে। কোনো পার্থক্য নেই, তখন ছিলো ১৯৭১ শুধু এটা ২০১৯। মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে রাজাকাররা কখনোই সেভাবে তা কবুল করেনি। করার কথাও নয়। রাজাকারদের যুদ্ধ ছিলো পাকিদের পক্ষে, আমাদের যুদ্ধ ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। এখনো তাই। লেখক : চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়