ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় এক উপ পরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
নিহতরা হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত উপজেলার রঙ্গিখালী এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে মো. সোহেল (২৭) ও নয়া বাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী-ডাকাত আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের সহযোগী মো. আমিন প্রকাশ নুর হাফেজ(৩২)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান (৫০), সহকারী উপপরিদর্শক সনজিব দত্ত (৩২) মিশকাত উদ্দিন (৩০)কনস্টেবল সিকান্দর আলী (২৩) ও মহিউদ্দিন (২২)। শনিবার ভোররাতে উপজেলার রঙ্গিখালী গাজীপাড়ার পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ব্যক্তি দুইজন মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়,শুরুবার রাত পৌনে নয়টার দিকে র্যাব-৭ কর্তৃক ৮ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. আমিন প্রকাশ নুর হাফেজ,সাব্বির আহমদের ছেলে সোহেল, ছৈয়দ হোসেনের ছেলে ছৈয়দ নুর, মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে সৈয়দ আলম প্রকাশ কালুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে, ভোররাতে হ্নীলা রঙ্গিখালী গাজীপাড়া পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল আলমসহ অপরাপর সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান,সহকারী উপ পরিদর্শক সনজিব দত্ত সহকারী উপ পরিদর্শক মিশকাত উদ্দিন, কনস্টেবল সিকান্দর আলী ও মহিউদ্দিন আহত হন। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।দু’দলের গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে নুর হাফেজ ও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৯৫হাজার ইয়াবা,ছয়টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ , ১৩ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নুর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়।সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন,ভোররাতে পুলিশ ৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য।অপর দুইজন সাধারণ মানুষ। তাদের শরীরে দুটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সকালে পুলিশের পাঁচজন সদস্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদেরকে ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া প্রস্তুতি চলছে।