শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ দুপুর
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলনই এখন বিএনপির একমাত্র পথ, কঠোর কর্মসূচি চায় তৃণমূল

মাজহারুল ইসলাম : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের সর্বস্তরের নেতা ও কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করায়, রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবেলা করতে হবে। কেবল আদালতের মাধ্যমে তার মুক্তি হবে না। যদিও আদালতের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেছেন তারা। জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দলের হাইকমান্ড।

জানা যায়, আপিল বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। এ মামলায় তার ৭ বছরের সাজা হয়। এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। এ ২টি ছাড়া অপর ৩৫টি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এখন কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায়। তারা মনে করেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথের কঠোর আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাদের অভিযোগ, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী। তাকে জামিন না দিয়ে বারবার জামিনে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আন্দোলনই একমাত্র পথ। বিএনপির বিভিন্নপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, দলের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ। বিএনপির নির্বাহী কমিটির এক নেতা বলেন, সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে দলের মাঠপর্যায়ের একজন সমর্থকও জানেন আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তারপরও নেতারা আদালতের দিকেই তাকিয়ে থাকছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, শক্ত কর্মসূচি দিতে কেন্দ্রের ওপর তৃণমূলের চাপ আছে। বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাও এর পক্ষে। যদিও আন্দোলনের মূল হাতিয়ার যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নিজেদের কমিটি নিয়ে ব্যস্ত। শিগগিরই এসবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হলে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি জোরদার হবে না। এ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেছেন, দল গোছানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। দুই একটি অঙ্গ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই হবে বলে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসে কর্মসূচি আছে। এরপর আমরা ধীরে ধীরে রাজপথের শক্ত কর্মসূচির দিকে যাবো।
মাদারীপুরের শিবচর থানা বিএনপি’র একজন নেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আদালত একটি গোষ্ঠীকে খুশি করতে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন। আদালত চাইলেই মানবিক কারণে ৭৫ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে পারতেন। সুতরাং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উচিত এখনই ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করা। সেইসঙ্গে বিএনপিতে সুবিধাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালানো। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়