আসিফুজ্জামান পৃথিল : উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই দুই রাজ্যে মোট ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার বিক্ষোভ দমনে অভিজ্ঞ সৈনিককে উড়িয়ে আনা হয়েছে কাশ্মীর থেকে। ত্রিপুরার ২টি এলাকা কাঞ্চনপুর ও মনু এবং আসামের বাইঙ্গনে মোতায়েন হয়েছে এই সেনাসদস্যরা। তবে প্রশাসন বলছে সামরিক বাহিনী নয়, মোতায়েন হয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। এনডিটিভি
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেপাহিজালায় দুইমাসের অসুস্থ এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা অবরোধ করা হলে শিশুটি মারা যায়। এই বিলের প্রতিবাদে প্রভাবশালী একটি ছাত্র সংগঠন বনধ্ ডেকেছিলো। প্রতিবাদকারীদের দাবি, এই বিল পাস হওয়াটা বিপজ্জনক। তাদের মতে, এই বিল পাস হলেই বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এই রাজ্যে ঢুকে পড়বেন। আসামের গুয়াহাটি সহ উত্তর-প‚র্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়। ম‚ল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা। উত্তর-প‚র্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের পক্ষে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে, বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুরে বনধ্ সমর্থকদের সরাতে পুলিশকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসডিএম অভেদানন্দ বৈদ্য। কাঞ্চনপুরের আনন্দবাজার এলাকায় আতঙ্কিত অ-আদিবাসী (সেটেলার) বাসিন্দারা বাড়ি ফিরতে না পেরে থানায় এসে আশ্রয় নেন। একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন ৭০টি পরিবার। তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিলের প্রতিবাদে গুয়াহাটিতেও পথে নেমে পড়েছেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশিরভাগ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। দিসপুরে যাওয়ার পথে ম‚ল সড়ক গুয়াহাটি-শিলং রোড অবরোধ করেছেন তারা। অবরোধ ওঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। ডিব্রুগড়ের চাউলধোওয়ায় পুলিশের লাঠিতে গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্র। বিক্ষোভের জেরে ডিব্রæগড়ের ও গুয়াহাটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাবতীয় পরীক্ষা অর্নির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। রাতে একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ধলাই জেলার লংতরাই ভ্যালির ৮২মাইল বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করার জন্য প্রথমে হুমকি দেয়া বলে জানান এক ব্যবসায়ী। পরে তারা ৩২টি দোকানে ভাঙচুর করে এবং বাজারে আগুন লাগায়। প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ওই সময় একাধিক মোটরসাইকেলেও আগুন লাগানো হয়। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম