ইয়াসিন আরাফাত : হার দিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শুরু করলো রংপুর রেঞ্জার্স। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দেয়া ১৭৪ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় মোহাম্মদ নবীর দল। এর ফলে ১০৫ রানের বড় জয় পায় কুমিল্লা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এবং রংপুর রেঞ্জার্স। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তার ঝড়ো ব্যাটিং-এ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা সংগ্রহ করে ১৭৩ রান। জবাবে, ১৪ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং-এ নেমে প্রথম বলেই রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন কুমিল্লার ওপেনার ইয়াসির আলি। আরেক ওপেনার রাজাপাকশে করেন ১৩ বলে ১৫ রান। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে সৌম্য সরকার ১৮ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় করেন ২৬ রান। এছাড়া ডেভিড মালান ২৬, সাব্বির রহমান ১৯, মাহিদুল ইসলাম ২, আবু হায়দার ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন অধিনায়ক শানাকা। মাত্র ৩১ বলে তিনটি চার আর ৯টি ছক্কায় তিনি করেন অপরাজিত ৭৫ রান।
রংপুরের হয়ে বল হাতে সফল ছিলেন বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ৩৭ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া লুইস গ্রেগরি ২টি সঞ্জিত সাহা ২টি, মোহাম্মদ নবী একটি করে উইকেট তুলে নেন। উইকেটশূন্য থাকেন বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ ও পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান।
১৭৪ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলার আভাস দেন রংপুরের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। তবে মাত্র ৮ বলে দুই ছক্কায় ১৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ২৭ বলে করেন ১৭ রান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১০ বলে ১১ রান করলেও ব্যাটিংয়ে ব্যার্থতার পরিচয় দেয় রংপুরের অনান্য ব্যাটসম্যানরা। বাকিদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে মাহমুদ ১, লুইস গ্রেগরি ০, সঞ্জিত সাহা ০, তাসকিন ১, জুনায়েদ খান ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ।
কুমিল্লার হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রানে তিনটি উইকেট পান আল আমিন হোসেন। এছাড়া সৌম্য ও সানজামুল ২ টি করে উইকেট তুলে নেন। অন্যদের মধ্যে মুজীব উর রহমান ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে একটি আর আবু হায়দার রনি ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পান।
আপনার মতামত লিখুন :