এস এম নূর মোহাম্মদ: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি আইন করেছে সরকার।সেটাও কার্যকর হচ্ছে না।একটি গোষ্ঠী এ আইন কার্যকরে বাধা সৃষ্টি করছে।দেশের মানুষ তো এই পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।কিছু হলে শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়।
গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেলের ক্ষতিপূরণের রুল শুনানিতে বুধবার এসব কথা বলেন হাইকোর্ট।বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ শুনানি হয়।এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য অবকাশের পর আসবে বলে জানান আদালত।
আদালত বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকেও মানুষ, গরু-ছাগল চিনলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষ এমনকি চালকও তো মারা যায়। একজন চালক মারা গেলে তার পরিবারকে কি ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়? সেটাও তো পরিবহন মালিকদের লক্ষ্য রাখা উচিত।
রাসেলের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ও তো গরীব ছেলে। মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।পরিবহন মালিকদের তো কোটি কোটি টাকা।ইচ্ছে করলে এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য তো অনেক কিছুই করার সুযোগ রয়েছে।রাসেল টাকা না পওয়ায় চিকিৎসা হচ্ছে না। এতে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে।
এ সময় গ্রিন লাইন পরিবহনের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, কথা বলে জানাবো।আদালত বলেন, যদি চালক নিয়োগে পরিবহন মালিকরা সতর্ক হতো, তাহলে দুর্ঘটনা কমে যেত।
আপনার মতামত লিখুন :