শফিক ইসলাম: বিপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। গত অক্টোবরে ১৩ দফা দাবিতে ক্রিকেটারদের যে ধর্মঘট হয়েছিলো সেখানে তিন নম্বরে ছিল এই দাবিটি। সেখানে বলা হয়েছিলো, যেন বিদেশি ক্রিকেটারদের মতোই দেশি ক্রিকেটারদেরও ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়া হয়। বিসিবি একাডেমি মাঠে ক্রিকেটারদের ঐ জমায়েতে এই দাবি পড়ে শুনিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
বিসিবি ক্রিকেটারদের বেশির ভাগ দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এই বিপিএলে সেই পুরোনো বৈষম্য কিন্তু থেকেই গেছে। এবার নিলামে এ-প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন, মাশরাফি বিন মুর্তোজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এদের প্রত্যেকের পারিশ্রমিক ঠিক করে দিয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আর এই একই ক্যাটাগরিতে বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ১ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা।
এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের পার্থক্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। মুশফিকের আপত্তি এখানেই। খুলনা টাইগার্সের হয়ে এই বিপিএল খেলা বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাই না। এবার সবকিছু অনেক দ্রুত হয়েছে। টুর্নামেন্ট হচ্ছে সেটাই অনেক। আমরা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তাঁরা সেভাবে আশ্বস্ত করেছেন। ভবিষ্যতে বেতন বা ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাব বলে আশা করি। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায় অনেকের চেয়ে আমরা কম পাচ্ছি। বিশ্বে সব লিগে কিন্তু স্থানীয় খেলোয়াড়েরা বেশি পারিশ্রমিক পায়।’
মুশফিকের দাবি, বিপিএলে যে কটি দল শিরোপা জিতেছে, বেশির ভাগই স্থানীয়দের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। এরমধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ক্রিস গেইল। বিপিএলের ইতিহাসে সেরা ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার সবই কিন্তু বাংলাদেশের। সেরা চারেও বাংলাদেশিদের দাপট। বিপিএল ইতিহাসে বাইরের খেলোয়াড়েরা যে খুব বেশি ভালো খেলে তা না। শীর্ষ রান সংগ্রাহক বা উইকেট শিকারির দিকে তাকান। ক্রিস গেইল ছাড়া কারও তেমন একা ম্যাচ জেতানোর রেকর্ড নেই। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো খেলতে।’
তাইতো ক্রিকেটারদের প্রতি মুশফিকুর রহিমের আহ্বান, নিজেদের খেলার মান আরো বাড়াতে হবে, যাতে আমাদের পারিশ্রমিক বেশি হয়।