ফরহাদ আমিন,টেকনাফ : মিয়ানমার থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন।মঙ্গলবার একদিনে ১০ জন ব্যবসায়ীর কাছে ২৫টি ট্রলারে করে ১ হাজার ৩০২ দশমিক ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ৯ দফায় মিয়ানমার থেকে নৌপথে ৮ হাজার ৭১৯ দশমিক ৭৭৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেন। এরপর ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রথম মিয়ানমার থেকে প্রথম চালানে ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসে। এরপর থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৫৩ হাজার ৭৮১ দশমিক ৭৭৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।সকালে ব্যবসায়ী হাশেমের ৩৯৯ দশমিক ২০০ মোঃ আইয়াজের ৭৪ দশমিক ১০০, মোঃমাসুমের ৫৯ দশমিক ৮৮০, যদুবাবুর ২৫৯ দশমিক ৪৮০, মোঃএনামুলহকের ৪ দশমিক ৫০০, আবুআহাম্মদের ২৫ দশমিক, আব্দুল হাফেজের ৯৪ দশমিক ৪০০, মোঃ সেলির ২৭৯ দশমিক ৪৪০, মোঃসজিবের ৯৯ দশমিক ৮০০, বাহাদুরের ৬ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরের আসে। এসব পেঁয়াজ খালাস করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার রাজস্ব মওকুফ করে দেয়ায় আগের তুলনায় রাজস্ব কম আদায় হচ্ছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাত পর্যন্ত ১০০টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে। অনুলিখন : মৌরী সিদ্দিকা