ফজলুল হক , জাককানইবি প্রতিনিধি : সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) কর্মরত ১২ সাংবাদিক।
রোববার বেলা ৩টায় ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও নিরাপত্তা চেয়ে দুটি আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ সংবাদকর্মী। থানায় দুটি পৃথক ডায়েরী করা হয়েছে। একটি জাককানইবি প্রেসক্লাব এর সকল সংবাদকর্মীদের পক্ষে দপ্তর সম্পাদক আশিক আরেফীন যার জিডি নং-৩৬৯ এবং অন্যটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তর এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিহার সরকার অংকুর নিজে যার জিডি নং-৩৭০।
বারো সংবাদকর্মীরা হলেন , সরকার আবদুল্লাহ তুহিন (দৈনিক অধিকার) ফজলুল হক পাভেল (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), নিহার সরকার অংকুর (দৈনিক দেশ রূপান্তর,) সিফাত শাহারিয়ার প্রিয়ান (ডিবিএন নিউজ) তিতলি দাস (দৈনিক খোলা কাগজ) আশিক আরেফীন (পিবিএ) বায়েজিদ হাসান (দৈনিক আজকের খবর) ফারজানা সকাল (দৈনিক সংবাদ) হাবিবুল্লাহ আল মারুফ (দৈনিক আমার সংবাদ, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস) আজিজুল হাকিম পাভেল (দৈনিক সমাচার) আশিকুর রহমান সৈকত (দৈনিক সময়ের আলো) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম (বাংলা ট্রিবিউন)।
রোববার রাত ১২টা ৩০মিনিটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তর এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিহার সরকার অংকুরকে একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত শফিক খান মুঠোফোনে হুমকি প্রদান করে এবং সাংবাদিকতা কাকে বলে দেখিয়ে দেবারও হুমকি দেয়। প্রেসক্লাবের পেইজে ও গ্রুপে কেন তার ছবি সহ নিউজ এ নিয়েই হুমকি প্রদান করে শফিক খান।
সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা পলাতক আরেক জালিয়াত চক্রের সদস্য স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির রহমান এর ফাঁস হওয়া ৭মিনিট ৩৫ সেকন্ডের অডিও রেকর্ডে শফিক খান এর নাম উঠে আসে। যা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।হুমকি দেয়ায় সংবাদকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- এই সংবাদকর্মীরা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেছে আর তাদের যে বা যারা হুমকি দেয় তাদের প্রশ্নে কোনো ছাড় হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন- সম্প্রতি প্রক্সি দিতে আসা আটক হওয়া শিক্ষার্থীর বক্তব্য ও সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার বিষয় গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের নিয়ম অনুযায়ীও ব্যবস্থা নিবে।
যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তি সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী সেই হিসেবে আজ সেই বিভাগে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ত্রিশাল থানার ওসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে তিনি সংবাদকর্মীদের ডায়েরি গ্রহণ করেছেন এবং সাংবাদিকদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক