আনিস তপন : প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে কেনা গাড়ি এবং সরকারি যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা অনুযায়ী সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণকারী কোনো কোনো কর্মকর্তা প্রেষণ/মাঠ প্রশাসন/প্রকল্পে কর্মরত থাকা অবস্থায় সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা থাকা সত্ত্বে ও ওই নীতিমালার নীতি ১৬ যথাযথভাবে অনুসরণ না করে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করছেন। এতে সরকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আরও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি এবং সরকারি যানবাহন ব্যবহারে বিভিন্ন অনিয়ম করছেন, যা সরকারি কর্মচারীর অসদাচরণ ও দুর্নীতির আওতাভুক্ত অপরাধ।
সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি এবং সরকারি যানবাহনের অপব্যবহার রোধে তিনটি বিষয় অনুসরণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা অনুযায়ী ১০০ ভাগ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি/অধীন দপ্তর/সংস্থার যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। প্রেষণ/মাঠ প্রশাসন/প্রকল্পে কর্মরত কোনো কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক সরকারি যানবাহন ব্যবহারের সুবিধা থাকলে সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ নির্ধারিত অর্থের ৫০ ভাগ পাবেন। কর্মস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণের কেনা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি/অধীন দপ্তর/সংস্থার যানবাহন ব্যবহার করা বিধিসম্মত নয় বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সচিবদের সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি এবং সরকারি যানবাহন ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুসরণে ব্যত্যয়কারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতসহ মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং অধীন সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারের উপসচিব-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব কর্মকর্তারা গাড়ি কিনতে বিনা সুদে সরকারের কাছ থেকে ঋণ এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় পেয়ে থাকেন। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও