শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০১:২০ রাত
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নানান স্বাদের নানান পেঁয়াজ, দেশি পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি

লাইজুল ইসলাম: জাকিয়া সুলতানা পলাশির বাজারে আসেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য কেনাকাটা করতে। তিনি দেশি পেঁয়াজ কিনছিলেন কেজি প্রতি ২৭০ টাকা করে। তবে দোকানে চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজও ছিলো। কিন্তু তিনি নিলেন না।

ব্যবসায়ী শহীদ ফারুকও পলাশি বাজারে এসেছিলেন শুধুই পেঁয়াজ কিনতে। তিনি মায়ানমার ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ নিলেন। কিন্তু তুরস্ক বা চায়না পেয়াজ নিলেন না। দোকানি দিতে চাইলেও নেননি এই ব্যবসায়ী।

রোববার পলাশী বাজার ঘুুরে এই চিত্র দেখা গেলো। চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজের বিষয়ে জানতে চাইলেই জাকিয়া সুলতানা বলেন, এই পেঁয়াজের কোনো ধরনের স্বাদ নেই। শুধু দেখতেই বড়। কিন্তু ভেতরে শুধু পানি। চুলায় বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ। খুৃঁজে পাওয়া পাওয়া যায় না। শহীদ ফারুকেরও একই বক্তব্য। তবে তিনি অভিযোগের কন্ঠে বলেন, দ্রুত পচন ধরে এই পেঁয়াজে। তাছাড়া কোনো ঝাঁজ নেই চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, চায়না ও তুরস্কের বড় পেঁয়াজ দ্রæত নষ্ট হয়। এদিকে, পাকিস্তানি ও মিশরের পেয়াজে ঝাঁজও বেশি, নষ্টও হয় কম। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ কিছুটা দেশি পেঁয়াজের মতই। তবে দেশি পেঁয়াজের স্বাদের কাছে এগুলোর কোনো স্থান নেই।

কারওয়ান বাজারে দেখা গেলো মিশরের পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। গৃহিনী নাজমা আক্তার বলেন, মিশরের পেঁয়াজ কিছুটা ভালো আছে। দেশি পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্যের কারনে মিশরের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। পাকিস্তানি পেঁয়াজও ভালো। খাওয়ার মত। তবে বেশি ভালো দেশি পেঁয়াজ।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা করে। তবে দাম কমেছে চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজের। একশো টাকা কেজি করে বিক্রি করছেন পাইকাররা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা করে। পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা করে। মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা করে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারী ব্যবাসয়ী মো কালাম শেখ বলেন, পেঁয়াজ দেখতে কিছুটা ভিন্ন। পাকিস্তানি পেঁয়াজ গোলাপী, মিয়ানমারের লম্বা আকারের, তুরস্কের কালচে গোলাপী, আর চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজ বড় ও সাদা ধরনের।

কালাম শেখ বলেন, চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজের ভেতরে কিচ্ছু নাই। দেখতেই অনেক বড়। সবজির স্বাদ পেঁয়াজে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি পেঁয়াজ মোটামুটি ভালো। মিশরের পেঁয়াজও একই রকম। এদের চাহিদাও আছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজের স্বাদ কিছুটা দেশি পেঁয়াজেরমত হওয়ায় এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে এখনো ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজই চায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়