মহসীন কবির ও এস এম নূর মোহাম্মদ : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা ৬ মাসের জন্য হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর রোববার (০৮ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। এর ফলে ওই মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিতই থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার ওপর রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন। রুলে ওই মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন।
হাইকোর্টের ওই স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ০৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ৮ ডিসেম্বর শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ। পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, আপিল বিভাগের এ আদেশের হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রইলো। অর্থাৎ মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারপর তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই বছরের ৫ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক তাকে চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট আবারও নওশাবাকে দুইদিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন একই অদালত। এরপর ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচহাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবা সিএমএম আদালতের দেওয়া জামিনে মুক্তি পান।