আসিফ কাজল: সুন্দরবন রক্ষা কমিটির আহবায়ক ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে কমিটি আয়োজিত ‘জাতীয় কনভেনশন ২০১৯’ তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ স্বাধীন করেছি, তা শুধু ভূখন্ড অর্জনের জন্য ছিল না।আমাদের কিছু নৈতিক লক্ষ্য ছিল।আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি।এসময় প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানায়।
সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রকৃতি ও প্রাণ বিপর্যয়ের মধ্যে চলে গেছে, আমরা মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়ের মধ্যে বসবাস করছি।সুন্দরবনকে আমাদের জাতীয়ভাবে বাঁচাতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, উপকূলজুড়ে প্রায় ২২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে জলবায়ু মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে। জলবায়ু উদ্বাস্তুর পাশাপাশি আমাদের উন্নয়ন উদ্বাস্তু তৈরি হবে৷অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়িয়ায় কয়লা তুলতে চাইছে।চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে।ফুলবাড়িয়া ছাড়াও হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার জনসম্মতি নেওয়া হয়নি। নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবন আর আমাজন একইসূত্রে বাঁধা। আমাজন আগুনে জ্বলছে আর সুন্দরবন ধবংসের চেষ্টা চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তা পুঁজিবাদী বিনিয়োগ। পুঁজিবাদী বিনিয়োগই সব দুর্গতির জন্য দায়ী।
অনুষ্ঠানে রামপালসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বন্ধ, পিএসসি ২০১৯ বাতিল করে স্থল ও সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান, দুর্নীতি বন্ধ করতে অবশ্যই দায়মুক্তি আইন বাতিল, এশিয়া এনার্জি (জিসিএম)-কে দেশ থেকে বহিষ্কার এবং ব্যয়বহুল, আমদানি ও ঋণনির্ভর, প্রাণপ্রকৃতিবিনাশী পরিকল্পনা বাতিলসহ সরকারের উদ্দেশ্যে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়।