আশরাফুল নয়ন : নওগাঁয় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলায় শিকার হয়ে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছে। ১৭ নভেম্বর রাত ৭ টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে এ হামলার শিকার হোন। এসময় দৈনিক আমাদের নতুন সময় ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী মারাত্বক আহত হোন। গুরুত্বর আহতবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করায় শহরে উত্তপ্ত শুরু হয়। পরদিন ১৭ নভেম্বর রাত ৭ টার দিকে নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল মুক্তির মোড়েরর দিকে আসছিলো। মিছিলটি শহরের ইডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে আসলে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে ‘দৈনিক যুগান্তর’ জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময় ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন দুর্বৃত্তের হামলায় শিকার হোন।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ পরান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউল, ইমরান হোসেন ও থানা পুলিশের তৎপরতায় সাংবাদিকরা কিছুটা রক্ষা পান। গুরুত্বর আহতবস্থায় উদ্ধার করে তাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় আব্বাস আলীর বাম হাতের কনুইয়ের হাড় ভেড়ে গেছে। এছাড়া আশরাফুল নয়নের মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে তিনদিন চিকিৎসাধীন থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন মহল তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. খোদাদদ খান পিটু ও সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাছিমুল হক বুলবুল, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক একে সাজু, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল, সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস হকসহ অন্যান্য সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ সাংবাদিকদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :