হাসান বিল বাংলা : মাইনুদ্দিন খান বাদল আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রতি রইলো অগাধ শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা। একজন সাংসদ ও বক্তা হিসেবে তিনি ছিলেন সকলের সম্মানের পাত্র। ব্যক্তিগতভাবে মানুষটির বাচনভঙ্গি এবং অগাধ রাজনৈতিক জ্ঞানের উপর ছিলাম অনুরক্ত। বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে যদি দুটি ফ্যাক্টর বিবেচনায় আনা হয়, তবে অবশ্যম্ভাবীভাবে জাসদের অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতাকে দায়ী করা যাবে।
তৎকালীন জাসদের একজন নেতা হিসেবে জনাব বাদলের অনেক সমালোচনা থাকলেও তার পরিবর্তিত উপলব্ধিতে আওয়ামী লীগের মূল ধারার সকলেই তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া, জাসদের মূল কারিগর ছিলেন ছাত্রলীগেরই একদল মেধাবী ছাত্র নেতা। রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে তখনকার সেই বিভক্তি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে দৃশ্যপটে আনার সুযোগ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে, মোশতাক গং অন্ধকার পথের যাত্রীদের এক মোহনায় নিয়ে আসে এবং তার সুযোগ পুরোপুরি ক্যাশ করেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার ইতিহাস ছাড়াও ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘিরে যে রক্তাক্ত ইতিহাস তার সাতকাহন বর্ণনা করতে গেলে ‘লোম বাছতে কম্বল উজার’ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দাঁড়াবে।
তাই, মঈন উদ্দীন খান বাদলের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ইতিহাস অস্বীকার করতে পারবে না। বিঃদ্রঃ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা ইস্যুতে হয়তোবা বন্ধুদের সকলের ধারণায় একীভূত (আত্মীকরণ) হতে পারবো না। আমার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তাই ভিন্ন সুর পরিলক্ষিত হলেও হতে পারে কিন্তু তা থেকে বিচ্যুত হওয়ারও কোনো অপশান নেই।