আক্তারুজ্জামান : কোহলি না থাকায় অধিনায়কত্ব পেয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে হয়তো খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন রোহিত। নাহলে কি এভাবে জ্বলে উঠতেন? সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে তো জেতালেনই, সেই সঙ্গে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন। রাজকোটে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য পেরুতে বেশি বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ২৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে সিরিজে সমতা এনেছে টিম ইন্ডিয়া। আগামী রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।
দিল্লিতে ইতিহাস গড়া জয় নিয়ে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামে বাংলাদেশ। স্বাগতিক ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ নিশ্চিত করতে নেমে দারুণ শুরুও করেছিলো টাইগারদের। তবে মিডল অর্ডারে ছন্দপতন শুরু হলে সেটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে নাটকীয়তায় ভরা প্রথম ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তোলে মাহমুদউল্লাহরা।
পিছিয়ে থাকা ভারত কাল মরণ কামড় দিয়ে শুরু করেছিলো। রোহিত ও ধাওয়ান তো বাংলাদেশি বোলারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ছাড়েন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬৩ রান নেন এ দুজন। ৯.২ ওভারেই দলীয় শতকের দেখা পায় ভারত। ২৩ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়ে যান রোহিত। শিখর ধাওয়ানকে (৩১) ফিরিয়ে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন আমিনুল। রানের ফোয়ারা ছোটাতে থাকা রোহিত ৪৩ বলে ৮৫ রান করে এই আমিনুলের বলেই ফেরেন। পরে শ্রেয়াস আর রাহুল ২৯ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
পাওয়ার প্লেতে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। ২১ বলে ২৯ রান করে ফেরেন লিটন। ওয়াশিংটনক উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩৬ রান করে শ্রেয়াসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম শেখ। আগের ম্যাচের হিরো মুশফিক (৪) কাল তেমন কিছু করতে পারেননি। ছন্দে থাকা সৌম্যও চাহালের শিকারে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন ৩০ রান করে।
যদিও সৌম্যর আউট নিয়ে একটু টুইস্ট যোগ হয়েছিলো। থার্ড আম্পায়ার ভুল করে নট আউট বাটন চাপ দেন। কিন্তু ফোর্থ আম্পায়ার এসে সেটা বুঝিয়ে আউট দেন। টুইস্ট ছিলো লিটনের আউটের আগেও। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ প্যান্ট লিটনকে জীবন ফিরিয়ে দেন। নিশ্চিত স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পের সামনে থেকেই বল গ্লাভসে নেন ঋষভ। ফলে আউট বাতিল হয়ে বলটা নো হয়।
দলনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন। আফিফ ও মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে দুটি ভালো জুটি গড়েন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ২১ বলে ৩০ রান করে ফেরেন রিয়াদ। পরে আমিনুল আর মোসাদ্দেক ১১ রানের জুটি গড়ে দলীয় স্কোর দেড়শ পার করেন।