ডেস্ক রিপোর্ট : চকবাজার থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এজাহারভূক্ত আসামির বাইরে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও অভি। এ মামলায় পলাতকরা হলেন অনিক সরকার, মাজেদুল ইসলাম, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, জিসান , শামীম বিল্লাহ, শাদাত, মো: তানীম, মোর্শেদ ও মোয়াজ।ইত্তেফাক
এদিকে গ্রেফতার আরও তিনজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। আসামিরা হলেন, শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও আকাশ হোসেন রাফাত(২১)। গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানিশেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন খান শুনানিতে অংশ নেন। আসামি রাফাতের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গ্রেফতার ১০ জনকে মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ডিবির মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জন আসামির সবাই আবরারকে পেটানোর কথা স্বীকার করেছেন। তারা কেন এবং কিভাবে তাকে পেটানো হয় সে সম্পর্কে সবকিছুই খুলে বলেছেন। এই ১০ জনের মধ্যে চার পাঁচ জন ওই দিন মদ্যপ ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। আবরার মারা গেছেন জানার পর তাদের অনেকেই অনুতপ্ত হয়েছেন। অনেকেই ফোন করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তারা তাদেরকে ক্যাম্পাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ কারণে তারা পালিয়ে যাননি বরং নিজেদের মধ্যেই অনুশোচনা করেছেন।
ডিবির ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সব কিছুই অকপটে স্বীকার করেছেন। এ কারণে তারা আজকালের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :