শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৮:১৪ সকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৮:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনের সমর্থন নিয়েই প্রভাবশালীরা জমি দখল করেন, বললেন শামসুল হুদা

হ্যাপি আক্তার : এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেছেন, যারা জমি দখল করে তারা সমাজের উচ্চবিত্ত ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে এবং পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনের একাংশের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমর্থন নিয়েই তারা দখল কাজটি করে। বিবিসি বাংলা ৭:০০

শামসুল হুদা বলেন, সরকারের নিজস্ব যে সম্পদ আছে সেগুলোকে খাস সম্পদ বলা হয়। চরের যে খাস জমি সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে যদি অধিগ্রহণ করা হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে কিন্তু যথেষ্ট অনিয়মের অভিযোগ আছে।

সাম্প্রতিককালে ভূমি দখলের সাথে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সাথে যারা যুক্ত তারা সমাজের উচ্চ শ্রেণির অনেক প্রভাবশালী মানুষ। যাদের অনেক সম্পদ আছে, অনেক ভ‚মি আছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বেসরকারি এবং সরকারি কাজ হচ্ছে। এই উন্নয়নের নামেও অনেক জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আর অধিগ্রহণ ছাড়াও বেদখল হয়। যারা বড় বড় মেগা প্রকল্প করে তারা যে পরিমাণ অধিগ্রহণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি জমি তারা দখল করে এবং যারা এটা করে তাদের প্রভাবের কারণে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান থাকলেও যার পাওয়ার কথা ও যখন পাবার কথা তা পাচ্ছে না। এর ফলে যারা দরিদ্র এবং ভূমিহীন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ যারা কৃষিনির্ভর তাদের জমিও বিভিন্নভাবে বেহাত হয়ে যাচ্ছে।

খাস জমির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮০ দশক এবং ৯০ এর দশকের প্রথম দিকে খাস জমির দিকে সরকারের কিছুটা নজর ছিলো। কিন্তু ৯০ দশকের পর থেকে আস্তে আস্তে এই খাস জমি সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। খাস জমি প্রচুর আছে, বিশেষ করে কৃষি খাস জমির ক্ষেত্রে সরকারের একটা নীতিমালা আছে। যারা নদী-ভাঙন এলাকার মানুষ বা ভূমিহীন এবং কৃষির উপর নির্ভর করে চলতে হয় তাদের মধ্যে এই জমি বণ্টন করার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়মটা এখন সব জায়গায় মানা হচ্ছে না। তার মূল কারণ হলো উন্নয়নের নামে সে সব জায়গা অধিগ্রহণ করা হচ্ছে তার বড় একটি অংশ হচ্ছে কৃষি জমি। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়