মো. তৌহিদ এলাহী : বুধবার নয়াদিল্লীতে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজনৈতিক দ্বন্দ ভুলে দুই নেতা উন্নয়নের স্বার্থে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে । লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম দুই নেতা-নেত্রীর সাক্ষাৎ হবে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। এনডিটিভি
আগামীকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানী দিল্লিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আজ মঙ্গলবার মমতার দিল্লি যাওয়ার কথা ।বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ইস্যু সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোদির সাথে বৈঠকের পর আরো এক দিন দিল্লিতে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী।
সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, বৈঠকে রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা হতে পারে। উল্লেখ্য তৃণমূল চায়, রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ' বদলিয়ে ‘বাংলা’ রাখতে । এছাড়াও ডানলপ কারখানার মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
গত মার্চে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে।প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন এই বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ করবেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিয়ে বেশ কিছু আসন জিতে নেয় বিজেপি।ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, যার ফলে মোদীর একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজনৈতিক বিরোধিতা করেন মমতা।
সম্প্রতি ট্র্যাফিক আইনের পরিবর্তন ও নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এগুলি তিনি রাজ্যে চালু করতে দেবেন না।
এছাড়া আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতা নয়, রীতিমতো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজপথে নেমে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, একজনের গায়েও হাত দিতে দেবেন না তিনি।
গত জুনে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘এক দেশ, এক ভোট' সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সব বিরোধী দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। তবে যাননি মমতা।
মমতার বক্তব্য ছিল, এই বিষয়ে আলোচনা কখনও একদিনে শেষ হতে পারে না। তাছাড়া নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলা প্রয়োজন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমন করে মমতা বলেন, দেশে ‘‘অতি জরুরি অবস্থা'' চলছে। দেশের মানুষকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকতে।
তবে সম্পর্কের এ নাজুক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ও পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে এ বৈঠক নিশ্চই গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরকম পরস্পরবিরোধী অবস্থানের দুই শীর্ষ নেতার একসাথে বৈঠক রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
টিই/এসবি
আপনার মতামত লিখুন :