শেখ বাতেনের ফেসবুক থেকে: আপনার যদি কাউকে বিয়ে করতে ইচ্ছে হয় কী করবেন? যদি আর একজনের স্ত্রী হয়, কিংবা সন্তানের মা হয়, কী করবেন? তো তাকে ধরে এনে ধর্ষণ করেন। একটা পরিত্যক্ত জায়গা বা ঘর-টর হলে ভালো হয়। ২/৩ দিন আটক রেখে বারবার ধর্ষণ করেন। তারপর পাবনার ওসি ওবাইদুল হকের মতো কাউকে দরকার হবে আপনার।, তিনি বিয়ে পড়াবার আয়োজন করে দেবেন ঠিকমত। এটাও একটা তরিকা।
পনর বছর ম্যাজিস্ট্রেটগিরি করে জানি, ধর্ষনের অপরাধ হয় শুধু
ধর্ষিতা নারীর বিরুদ্ধে নয়, সকল নারীর বিরুদ্ধে, এ অপরাধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এটাই আইনের আক্কেলজ্ঞান, শুদ্ধ ভাষায় আমরা যাকে বলি জুরিসপ্রুডেন্স। তাই আদালতে ধর্ষনে মামলা নন-কমপাউন্ডিং। এর মানে আপনি ধর্ষিতাকে আপোষ করালে অপরাধ হবে। ধর্ষিতা নিজে চাইলেইও তা করতে পারেন না। এমনকি হাইকোর্টও অনুমতি দিতে পারে না। তবে কোনো কোনো পুলিশের লোক অনায়াসে থানার বসে নিজেরা তা তৈরি করতে পারে- আইন ও জুরিসপ্রডেন্স তোয়াক্কা নেই । তারা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে ধর্ষকে রেহাই দেবার জন্য বিয়ে পড়িয়ে দেন। ৮/১০ টি নষ্ট উপায়ের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হলো বিয়া, ধর্ষিতাকে রাজী করানো। এরপর তো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। এডামেন্ট জাজ হলেও এই মামলার চালানো যায় না। তারপর সবাই ভুলে গেলে,শোরগোল থেমে গেলে, সুযোগমত উষ্টা দিযে বিদায় করে দেন বাংলার একাত্তরখ্যাত এলোকেশী সিম্বলের ধর্ষিতা বধুকে। মামলাও শেষ, ধর্ষনও সফল। এবার এই লোক দ্বিতীয় ধর্ষণের প্রস্তুতি নিতে পারে, অনায়াসে। ধর্ষনের স্কোর বাড়তে থাকবে আপনার দেশে। আমি সরকার দলীয় পরিচয়ধারী ওই ধর্ষক ও পাবনা থানার ওই ওসিকে এই ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য যৌথ পুরস্কার ঘোষনার দাবি করছি।
নিশ্চয়ই এই উদ্দেশ্যে আমি ও আমরা ভোররাতে মধ্যরাতে রাইফেল হাতে নারী ও দেশের ইজ্জত রক্ষার জন্য একটা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম- তাই নয় কি জনাব?
এ কি অভূতপূর্ব অধঃপতনে পাঁচ দশকের ইতিহাস