রাশিদ রিয়াজ : ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো প্রধান কে শিবান জানিয়েছেন অরবিটারের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-২’এর ল্যান্ডার ‘বিক্রমের’ খোঁজ মিলেছে। এর থাম র্ াজ ইমেজে পেয়েছি। বিক্রম একেবারেই অক্ষত আছে। তথ্য অনুসন্ধান করে বেতার সংযোগের চেষ্টা চলছে। এর আগে ইসরোর এক বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, ল্যান্ডার ধ্বংস হলেও, অরবিটার হিসেবে চন্দ্রযান-দুইয়ের ৯৫ শতাংশই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। সেটি চাঁদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ ধরে পাক খাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘মুন মিশন’ ব্যর্থ এটা বলা যাবে না। কারণ চন্দ্রযানের অরবিটারে পৃথিবীতে তথ্য প্রেরণের আটটি অত্যাধুনিক গ্যাজেটস যথাযথ ভাবে কাজ করছে। এগুলো ছবি পাঠাচ্ছে। বেঙ্গালুরুর শ্রীহরিকোটায়, ইসরোর কেন্দ্রে জড়ো হচ্ছে সেইসব তথ্যচিত্র। আগামী সাড়ে ৭ বছর ধরে, এ ভাবে তথ্য-ছবি পাঠাতে থাকলে, চাঁদ নিয়ে গবেষণায় নয়া দিগন্ত খুলে যাবে বলেই ভারতের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। কক্ষপথে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে। পৃথিবী থেকে যে অবস্থায় পাঠানো হয়েছিল, সেই অবিকৃত অবস্থাতেই চাঁদকে কক্ষপথ ধরে প্রদক্ষিণ করছে। তথ্যসংগ্রহে অরবিটারে থাকা অত্যাধুনিক গ্যাজেটগুলিও স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে। সবথেকে বড় কথা চাঁদের কক্ষপথে সেটি সুরক্ষিত রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া/এনডিটিভি
২,৩৭৯ কেজি ওজনের চন্দ্রযান-২ চন্দ্রপৃষ্ঠরে ১০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থান করছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমেজিং আইআর স্পেক্ট্রোমিটার। যার কাজ হবে চাঁদের খনিজ মানচিত্র তৈরি করা। সেইসঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠে জল রয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রয়েছে ডুয়েল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার। এর কাজ হবে চাঁদের মেরু অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করা। পাশাপাশি উপ-পৃষ্ঠ স্তরে জল-বরফ রয়েছে কি না, তার সন্ধান দেওয়া।
চাঁদে পাঠানোর সময় ধরে নেওয়া হয়েছিল, অরবিটারের আয়ু হবে এক বছর। এখন চন্দ্রযানে মজুত থাকা জ্বালানি বিশ্লেষণ করে তারা দেখেছেন সাড়ে সাত বছরের জন্য অরবিটার নিয়ে চিন্ত নেই। ফলে, একবছর যতটুকু তথ্য মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল, তারা সাতগুণ তথ্য হাতে আসবে।
শনিবার ভোররাত পৌন ২টো নাগাদ চাঁদের মাটিতে পা রাখার কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর। শেষ মুহূর্তের বিপত্তি তা হয়ে ওঠেনি। সংযোগ হারিয়ে যাওয়া বাধে বড় বিপত্তি।