শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভ‌রি এক লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা ◈ রাইসির মৃত্যু হলে দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার  ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি, খুঁজে পেতে ডিবিতে মেয়ে ◈ কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন ◈ গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত, জাহাজ আটকে দিয়েছে স্পেন

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসাম ইস্যু : অনতিবিলম্বে সীমান্ত বন্ধ করতে হবে

ড. তুহিন মালিক : অনতিবিলম্বে সীমান্ত বন্ধ করুন। বিজিবির পাশাপাশি সীমান্তে সেনাবাহিনী নামান। কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার! কিন্তু এবার আসামের প্রায় বিশ লাখ মানুষকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে বাংলাদেশে বিতাড়নের যে উদ্যোগ ভারত সরকার গ্রহণ করেছে, সেটাও কি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে স্বীকার করবে বাংলাদেশ সরকার? দেশ বিভাগ ও যুদ্ধকবলিত এই উপমহাদেশে মাইগ্রেশন একটি বহু পুরনো এবং স্বীকৃত ইস্যু। ভারতের জ্যোতি বসু, সুচিত্রা সেন, সমরেশ মজুমদার, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ, বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ তারা সবাই মাইগ্রেট করেছে নিজ রাষ্ট্র থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে।

কিন্তু এই স্বীকৃত ইস্যু নিয়ে সর্ব আসাম গণসংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বাংলাদেশি খেদাও আন্দোলনের নামে সংখ্যালঘু মুসলিম খেদাও মিশন নিয়ে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিন শাতাধিক মুসলিম হত্যা এবং দেড় হাজারের বেশি মুসলমানকে আহতের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আসামের মরিগণ জেলায় মোহাম্মাদ হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমান্দ্র নারায়ণ নামের এক প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। হেমান্দ্র নারায়ণ পঁচিশ বছর ধরে ওই এলাকা শাসন করে আসছিলেন। এতে করে গণসংগ্রাম পরিষদ প্রতিশোধ নেশায় পাগল হয়ে যায়। যার ফলে ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত হয় নীল গণহত্যা। ছয় ঘণ্টা স্থায়ী এই হত্যাযজ্ঞে পাঁচ হাজার মুসলিম হত্যা করা হয়েছিলো। যার মধ্যে অধিকাংশ ছিলো নারী ও শিশু। এরপর ২০১২ সালে আসামের কোকড়াঝড় শহরে আবারও মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ভূমির মালিকানা নিয়ে মুসলিমবিরোধী এ দাঙ্গায় ৪৩ জন নিহত ও কয়েকশ আহত হয়।

আসলে ভারতের উগ্র হিন্দুবাদী সরকার শুধুই আসামের মাটি চাইছে, আসামের ভোট চাইছে। আসামের মাটি তাদের প্রিয়, আসামের মানুষ নয়। আর এটাকেই বলে ‘পোড়ামাটি নীতি’। যেমনটা তারা কাশ্মীরে চেয়েছে। বাংলাদেশের সামনে এটা এক কঠিন দুঃসময়। বাংলাদেশ সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, ভারতের বিশ লাখ মানুষকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে বাংলাদেশে বিতাড়নের প্রচেষ্টা ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ নয়। এটার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থহানিই ঘটবে সবচেয়ে বেশি। এই কথা বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ্যে বলতে হবে। সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচারণা চালাতে হবে। দলমত নির্বিশেষে এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে এই আগ্রাসনের জোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

অনতিবিলম্বে সীমান্ত বন্ধ করতে হবে। তিন স্তরের সীমান্ত চেকপোস্ট বসাতে হবে। বিজিবির পাশাপাশি সীমান্তে সেনাবাহিনী নামাতে হবে। যেকোনো রকমের পুশ-ইনের কঠোর জবাব দিতে হবে। একটা পুশ-ইন হলে দশটা পুশব্যাক করে জবাব দিতে হবে। যেহেতু এটা ভারতের একটি ধর্মীয় ইস্যু। তাই সবার আগে আমাদের নিজেদের ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষিত রাখতে হবে। এটা ভারতের হিন্দু-মুসলিম ইস্যু। আর তাই কোনোভাবেই এটাকে আমাদের হিন্দু-মুসলিম ইস্যু বানানো যাবে না। এটা ভারতীয় নাগরিকত্বেরও ইস্যু। ভারতের উগ্র হিন্দুবাদী সরকার আসামের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাংলাদেশের নাগরিক বলে বাংলাদেশে বিতাড়নের যে নগ্ন খেলায় নেমেছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর কঠিন থেকে কঠিনতম প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় স্বার্থে নোবেল কিংবা মানবতার আম্মা উপাধির লোভ সংবরণ করতে হবে। ভারতকে যা দিয়েছেন, ভারত তা কখনোই সারাজীবন মনে রাখবে না! হ্যাঁ বিনিময়ে ভারত শুধু তার বিশ লাখ নাগরিক বাংলাদেশকে দিয়ে দেবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়