আজম খান : আমি মনে করি না, আসামের জীবনমান, আয়, বাংলাদেশের চাইতে ভালো। বাংলাদেশে একজন শ্রমিক দৈনিক মজুরি ৩০০-৪০০ টাকা এখন এমনিতেই পায়। শহরে সেইটা আরও বেশি। আসামে বড়জোর এটার কাছাকাছি হবে। বেশি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দুরা নির্যাতিত হয়ে ভারতে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আসামে থাকতে পারেন। যদি ভারত সরকার পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে পারে তবে তাদের বাংলাদেশ সরকার প্রমাণ সাপেক্ষে ফিরিয়ে আনুক এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। এইছাড়া আমি আসামে কোনো বাংলাদেশি আছে বলে বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশ ভারত-জাপানের কারণে চীনকে দেয়া গভীর নৌ-সমুদ্র বন্দরের কার্যাদেশ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। তার প্রতিশোধ নিতে চীন তার পোঁদ বালক মিয়ানমারকে দিয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী পাঠিয়েছিলো। এখন ভারতও বাংলাদেশকে শরনার্থী পাঠানোর হুমকির মুখে রেখে বাংলাদেশে নিজের একতরফা ভূ-রাজনীতির ষোলোকলা পূর্ণ করতে চাইছে।
এই দুটো শরণার্থী সংকটই এই অঞ্চলের দুই বড় দেশের ভূ-রাজনীতির লড়াইয়ের ফলাফল। তাদের সবার কথা, ছোট বাংলাদেশ আমার পক্ষে একতরফা নেই কেন! এই হইলো এই জমানার নব্য ঔপনেবিশকতার চরিত্র। অবশ্য বাংলাদেশের ছাগলদের মতে বাংলাদেশ ভারতের পকেটে ঢুকে বসে আছে। যদি ঢুকেই বসে থাকতো তবে আজকে এই সংকট দেখতে হইতো না। যাই হোক, এখন একটাই দাবি সীমান্ত বিশেষ করে সিলেট সীমান্ত পুরাপুরি সিল করে দেয়া হোক। যদি কাউকে ফেরত আনতে হয় তবে সেটা হতে হবে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে। দুই দেশ যৌথভাবে একটা কমিটি করে সেসব যাচাই বাছাই করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সদিচ্ছা আর ভারতের সৎ সাহসটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :